কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা – কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা,
কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। কালো আঙ্গুর খাওয়ার
উপকারিতা সবুজ আঙ্গুর এর চেয়ে অনেক বেশি। এই পোস্টটি পড়ে বিস্তারিত জানতে
পারবেন কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা, কালো আঙ্গুর খাওয়ার
অপকারিতা, কালো আঙ্গুর খেলে কি হয়, কালো আঙ্গুর এর দাম, কালো আঙ্গুর চাষ
পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই, কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা, কালো আঙ্গুর
খাওয়ার অপকারিতা, কালো আঙ্গুর খেলে কি হয়, কালো আঙ্গুর এর দাম, কালো আঙ্গুর চাষ
পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা – কালো আঙ্গুর খাওয়ার
অপকারিতা

কালো আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ | কালো আঙ্গুর খেলে কি হয়

আমরা এখন জেনে নেব কালো আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আঙ্গুর প্রায় সবারই
পছন্দের একটি ফল। অন্যান্য ফলের চেয়ে আঙ্গুরের দামও বেশি। সুস্বাদু এই আঙ্গুর ফল
দিয়ে ওয়াইন, রস এবং জেলি-জ্যাম ইত্যাদি তৈরি করা ছাড়াও বাইরের বিভিন্ন দেশের
নানারকম মুখরোচক রান্নায় আঙ্গুর ব্যবহার হয়। এছাড়াও আঙ্গুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি
হয়।

আরো পডুন ঃ আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম – আজওয়া খেজুর এর উপকারিতা

সাধারণত বাজারে দুই ধরনের আঙ্গুর পাওয়া যায়। একটি হলো কাল আঙ্গুর
অন্যটি  সবুজ আঙ্গুর। আঙ্গুর কে ফলের রানী বলা হয়। কালো হোক বা সবুজ দুই
ধরনের আঙ্গুরই পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি ফল।কালো আঙ্গুর খেলে কি হয় যদি এমন প্রশ্ন
করা হয় তাহলে বলতে হয় কালো আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ একটু বেশি। আমরা যদি
কালো আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাই কালো আঙ্গুরের
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।এছাড়াও এতে
রয়েছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম।

কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা

এখন আপনারা কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। উপরে
আমরা কালো আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ বিবেচনায় দেখতে পাই কালো আঙ্গুরের রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি।এছাড়াও এতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন,
পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।কালো
আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • কালো আঙ্গুরে রয়েছে খনিজ উপাদান পটাশিয়াম যা হৃদপিন্ডের জন্য অত্যন্ত
    গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।কালো আঙ্গুর খেলে হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল ভাল হয়। এর
    ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পেশীকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
    রাখতেও সাহায্য করে।
  • মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজের
    অভাবে হাড়ের ক্ষয় ও বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হয়। কালো
    আঙ্গুরে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান মিনারেল ক্যালসিয়াম ও আয়রন বোন ডেন্সিটি
    বাড়ায়। 
  • কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি হলো দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এমন
    দুটি উপাদান কালো আঙ্গুরের রয়েছে। উপাদান দুটি হল লুটেন এবং
    জিয়াজ্যানথিন। সুতরাং আমরা বলতে পারি কাল আঙ্গুর চোখের দৃষ্টিশক্তি
    উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • কালো আঙ্গুরে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। আমরা জানি ভিটামিন-সি দেহের রোগ
    প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং কালো আঙ্গুর দেহের রোগ প্রতিরোধ
    ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও এই আঙ্গুরের ফ্ল্যাবনয়েডস, খনিজ, অর্গ্যানিক অ্যাসিড
    কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কালো আঙ্গুর ত্বকে রক্ত সঞ্চালন
    উন্নত করে। এর ফলে বলিরেখা, কালো ছোপ, শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কালো
    আঙ্গুর খুবই উপকারী।
  • কলোরাডো ইউনিভার্সিটির ক্যান্সার সেন্টারের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কালো
    আঙ্গুর ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
  • কালো আঙ্গুর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা চুল ও ত্বকের জন্যও উপকারী। এর পাশাপাশি এটি
    খেলে ত্বক ফর্সা হয়।
  • কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মস্তিস্কের ক্ষমতা
    বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কালো আঙ্গুর। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, মাইগ্রেন এর
    মতো সমস্যার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে কালো আঙ্গুরের।
  • সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কালো আঙ্গুর সেলাটোনিন এ ভরপুর। যা মানুষের
    শরীরে অক্সিটোসিন এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলস্বরূপ ঘুম দীর্ঘস্থায়ী ও গাঢ় হয়।
সুতরাং আমরা বুঝতে পারছি কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা কত বেশি। তাই
আমরা সর্বদা কালো আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করব। 

কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা

কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা শুধু নেই কালো আঙ্গুর খাওয়ার
অপকারিতাও রয়েছে বেশকিছু। কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো নিচে
আলোচনা করা হলোঃ

এলার্জির সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেঃ

আঙ্গুর ফলে বেশকিছু উপাদান রয়েছে যা এলার্জি বৃদ্ধি করতে পারে। তাই আঙ্গুর
ফল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার অনুরোধ রইল।

আরো পডুন ঃ
তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা – তরমুজের উপকারিতা কি

এসিডিটি সমস্যা হতে পারেঃ

কালো আঙ্গুরে অল্প পরিমাণে স্যালিসিলিক এসিড রয়েছে। যা পরিমাণের চেয়ে বেশি
পরিমাণে খেলে এসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। আবার খালি পেটে আঙ্গুর ফল
খাওয়া যাবেনা। খালি পেটে কালো আঙ্গুর খেলে এসিডিটি সমস্যা
হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি করতে পারেঃ

আঙ্গুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি একইসাথে এতে বেশকিছু সুগার
রয়েছে। একটি আঙ্গুর ফলে রয়েছে ১০৪ ক্যালোরি। আঙ্গুর ফল ছোট
হওয়ায় একসাথে অনেক ফল খেয়ে নেওয়া যায়। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি
হতে পারে।যদি প্রতিদিন আঙুর খাওয়া হয় তাহলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ওজন বৃদ্ধি করতে
পারে। আমার কাছে কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা মনে রয়েছে এটি।

ডায়াবেটিস বৃদ্ধি করতে পারেঃ

কালো আঙ্গুর ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি একইসাথে সুগার। যারা
ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা অল্প পরিমাণে কালো আঙ্গুর খেতে
পারেন। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে নিলে এটি ডায়াবেটিস
রোগীদের রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা গুলো। তাই
পরিমিত পরিমাণে কালো আঙ্গুর খেলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু
পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে নিলে উপরের সমস্যা গুলো আপনি দেখতে পাবেন। 

কালো আঙ্গুর এর দাম

আমরা এখন জেনে নেব কালো আঙ্গুর এর দাম কত সেই
সম্পর্কে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এর সাথে সাথে ফলের দাম ও আমাদের দেশের
বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি বর্তমান বাজারের কথা বলি তাহলে বলতে হয় কালো
আঙ্গুর এর দাম ছয় মাস আগে যেমন ছিল ছয় মাস পরে তার দাম বেড়ে প্রায়
দ্বিগুণ হয়েছে। কালো আঙ্গুর এর দাম ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ছিল ২০০
থেকে ২৫০ টাকা। সেখানে বর্তমানে অর্থাৎ ২০২২ সালের অক্টোবর
মাসে কালো আঙ্গুর এর দাম ৪০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

কালো আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি 

আমরা এখন জেনে নেব কালো আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি কিভাবে করবেন সেই
সম্পর্কে। কাল আঙ্গুর চাষ করার জন্য বেশ কিছু ধাপ রয়েছে। আমরা ধাপে
ধাপে জাত নির্বাচন, জমি নির্বাচন এবং সার প্রয়োগ সহ বিস্তারিত আলোচনা
করব কালো আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

জাত নির্বাচনঃ

যে কোন ফল গাছ থেকে ভালো ফল পাওয়ার জন্য জাত নির্বাচন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে প্রধানত তিন জাতের আঙ্গুর গাছ পাওয়া
যায়।(১) জাককাউ (২) ব্ল্যাক রুবী ও (৩) ব্ল্যাক পার্ল। তিনটি জাতই গ্রীষ্মকালীন
এবং পরে তিনটি রঙের রূপান্তরিত হয়ে যথাক্রমে হালকা বাদামি, কালো ও করমচা রং ধারণ
করে। ফলন আসতে সময় লাগে প্রায় দু’বছর।

জমি নির্বাচনঃ

যে কোন ফল বা অন্য যে কোন গাছ থেকে ভালো ফলন পেতে জমি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।যে
ফল গাছের জন্য যে ধরনের জমি দরকার সেই ধরনের জমি নির্বাচন করতে হবে।সাধারণত
আঙ্গুর চাষের জন্য দো-আঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি এবং
পাহাড়ের পাললিক মাটিতে আঙ্গুর চাষ ভাল হয়। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে জমি
অবশ্যই উঁচু জায়গায় হতে হবে যেখানে পানি জমে থাকবে না। এবং এমন জায়গায়
জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পৌঁছায়।

জমি তৈরিঃ

জমি নির্বাচন করা হয়ে গেলে এরপর মাটিকে ভালোভাবে চাষ দিতে হবে
এবং মাটি আলগা ও ঝরঝরে করতে হবে।তারপর ৭০ * ৭০ * ৭০ সে. মি. মাপের গর্ত
করে তাতে ৪০ কেজি গোবর, ৪০০ গ্রাম পটাশ, ৫০০ গ্রাম ফসফেট এবং ১০০ গ্রাম ইউরিয়া
গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে ১০/১৫ দিন রেখে দিতে হবে। যেন সারগুলো ভালোভাবে মাটির
সাথে মিশে যায়।

আরো পডুন ঃ বরই পাতার উপকারিতা – বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি

রোপণ পদ্ধতিঃ

এখন চারা রোপণের পালা। এখন যে চারাটি সংগ্রহ করা হয়েছিল সেটি গর্তে
পুঁতে দিতে হবে। আঙ্গুর গাছ সাধারণত নরম প্রকৃতির হয় তাই গাছ রোপণের সাথে
সাথে একটি কাঠি পুঁতে দিতে হবে যেন গাছটি সেই কাঠির উপর ভর করে উপরে
উঠে আসতে পারে। গাছ রোপনের পর হালকা সেচ দিতে হবে।শাখা-কলমের বেলায় প্রায় ১
ফুট দীর্ঘ শাখা-খন্ডের ১/৩ অংশ মাটির নিচে কাত করে পুঁতলে ভালো হয়। আঙ্গুর চারা
লাগানোর উপযুক্ত সময় মার্চ-এপ্রিল মাস।

সার প্রয়োগঃ 

এখন গাছ রোপন করা হয়ে গেলে গাছের জন্য পরিচর্যা ও সার এর প্রয়োজন। গাছ
রোপনের ১ মাসের মধ্যে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে তাতে ৫ গ্রাম ইউরিয়া সার
উপরি প্রয়োগ করা দরকার।১-৩ বছরের প্রতিটি গাছে বছরে ১০ কেজি গোবর, ৪০০ গ্রাম
পটাশ, ৫০০ গ্রাম ফসফেট এবং ১০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। পটাশ সার ব্যবহারে
আঙ্গুর মিষ্টি হয় এবং রোগ বালাইয়ের উপদ্রব কম হয়। বয়স্ক গাছের জন্য প্রতি বছর
এপ্রিল মাসে দুই কেজি তেলের খৈল, এক কেজি হাড় চূর্ণ এবং এক পোয়া সালফেট অব পটাশ
ব্যবহার করা যায়।

গাছের পরিচর্যাঃ

গাছ রোপনের পর পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরী। আমরা উপরে দেখেছি কালো আঙ্গুর
ফল গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়ে মার্চ এপ্রিল মাস। চারা রোপণের পর
উপরিউক্ত ধাপগুলো পূর্ণ করে নিম্নোক্ত পরিচর্যা করতে হবে।

গাছ রোপনের ১০থেকে ১১ মাসের মাথায় মাচায় ছড়িয়ে থাকা আঙ্গুর গাছের কান্ড ছেঁটে
দিতে হবে। কান্ড ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে আঙ্গুর গাছের ফলন বৃদ্ধি হয় এবং ফুল ঝরে পড়া
কমে যায়। ছাঁটাইয়ের ৭ দিন আগে এবং পরে গোড়ায় হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ রোপণের পর
মাচায় ওঠা পর্যন্ত প্রধান কাণ্ড ছাড়া অন্য সকল পার্শ্বের শাখা ভেঙ্গে ফেলতে
হবে। 

  • প্রথম ছাঁটাইঃ মাচায় কান্ড ওঠার ৩৫/৪৫ সে.মি. পর প্রধান কান্ডের
    শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে, যাতে ঐ কান্ডের দুই দিক থেকে দু’টি করে চারটি শাখা
    গজায়।
  • দ্বিতীয় ছাঁটাইঃ গজানো চারটি শাখা বড় হয়ে ১৫-২০ দিনের মাথায় ৪৫/৬০
    সে.মি. লম্বা হবে, তখন ৪ টি শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে, যেখান থেকে আরও পূর্বের
    ন্যায় দু’টি করে ১৬টি প্রশাখা গজাবে।
  • তৃতীয় ছাঁটাইঃ এই ১৬টি প্রশাখা ১৫/২০ দিনের মাথায় ৪৫/৬০ সে.মি.
    লম্বা হবে, তখন আবার এদের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে যাতে প্রতিটি প্রশাখার
    দু’দিকে দু’টি করে ৪ টি নতুন শাখা এবং এমনিভাবে ১৬ টি শাখা থেকে সর্বমোট ৬৪টি
    শাখা গজাবে। অবশ্য সর্বক্ষেত্রেই যে ৬৪ টি শাখা গজাবে এমন কোন কথা নেই।

এই শাখার গিরার মধ্যেই প্রথমে ফুল এবং পরে এই ফুল মটর দানার মত আকার ধারণ করে
আঙ্গুর ফলে রূপান্তরিত হবে। প্রথম বছর ফল পাবার পর শাখাগুলোকে ১৫/২০ সে.মি. লম্বা
রেখে ফেব্রুয়ারী মাসে ছেঁটে দিতে হবে। ফলে বসন্তের প্রাক্কালে নতুন নতুন শাখা
গজাবে এবং ফুল ধরবে। এই পদ্ধতি ৩/৪ বছর পর্যন্ত চলবে এবং ফলের স্থিতি লাভ করবে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কালো আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

শেষ কথাঃ কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা – কালো আঙ্গুর খাওয়ার
অপকারিতা 

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। অনেকেই আছেন
যারা কালো আঙ্গুর কিনবেন নাকি সবুজ আঙ্গুর কিনবেন সেটি নিয়ে চিন্তিত
থাকেন একই সাথে তারা কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে
অবগত নন।আমরা উপরে দেখিয়েছি কাল আঙ্গুর সবুজ আঙ্গুরের চেয়ে কতটা উপকারী।
একই সাথে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা,
কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা, কালো আঙ্গুর খেলে কি হয়, কালো আঙ্গুর এর দাম,
কালো আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। 

পোষ্ট টি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার আত্মীয়স্বজন এবং
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যেন তারাও কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা, কালো
আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন খুব সহজেই। ১৬৮২১