বরই পাতার উপকারিতা – বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা বরই খান কিন্তু বরই পাতার উপকারিতা এলার্জির জন্য কত তা সঠিকভাবে অবগত নন তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে আলোচনা করব বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি এছাড়াও পোস্টটি পড়ে আরো জানতে পারবেন বরই পাতার উপকারিতা, বরই পাতার গুনাগুন, বরই পাতার রস এর উপকারিতা, বরই পাতার গরম পানি, বরই পাতার গুন, বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। 

তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই, বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি , বরই পাতার গুনাগুন, বরই পাতার রস এর উপকারিতা, বরই পাতার গরম পানি, বরই পাতার গুন, বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি

বরই পাতার গুন | বরই পাতার গুনাগুন | বরই পাতার উপকারিতা 

আমরা প্রথমে বরই পাতার গুনাগুন গুলো দেখে নেব এরপর বরই পাতার উপকারিতা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।বরই পাতার গুনাগুন যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাই বরই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক যা যেকোনো ধরনের চুলকানি ও এলার্জি এর মতো সমস্যা থেকে সমাধান দেয়। এছাড়াও বরই পাতার আরো বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।বরই পাতার উপকারিতা গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

  • বরই পাতার উপকারিতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বরই পাতা এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের চুলকানি ও এলার্জি এর মতো সমস্যা থেকে সমাধান দেয়।
  • বরই পাতা গ্যাস্টিক আলসার এর মতো সমস্যা সমাধানের সাহায্য করে। এর জন্য আপনাকে বরই পাতার কচি অংশটুকু এনে তা ধুয়ে ব্লেন্ডারে ব্লিন্ড করে খেতে পারেন। বরই পাতা কয়েকদিন খাওয়ার পর আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। 
  • অনেকের মাথায় বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি হয়ে থাকে আবার কারো কারো মাথায় খুশকি এর সমস্যা থাকে এর ফলে অনেক সময়ই চুল পড়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া এবং খুশকি সমস্যার সমাধানে বরই পাতার সাথে আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। সেই পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলের পরিচর্যা করলেই মাথার চুল পড়া এবং খুশকি ও ফুসকুড়ি এর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কোন জায়গা কেটে গেলে বা কোন পোকামাকড় কামড় দিলে সেই জায়গা ফুলে যেতে পারে।কেটে যাওয়া জায়গা বা পোকামাকড় কামড়ানো স্থান ভালো করতে বরই পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিতে পারেন। বরই পাতায় যেহেতু অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে তাই এটি ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিলে ইনশাল্লাহ দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি

আমরা এখন জেনে নেব বরই পাতার উপকারিতা এলার্জির জন্য কতটা উপকারী সেই সম্পর্ক। অনেকেই আছেন যারা বহুদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন। কি করে এলার্জির সমস্যা দূর করবেন বুঝতে পারছেন না তাদের সুবিধার্থে এখন আলোচনা করব বরই পাতার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। 

বিজ্ঞানের গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে বরই পাতায় বেশকিছু অ্যান্টিসেপটিক রয়েছে যা এলার্জির জন্য খুবই উপকারী। বরই পাতা কে কিছুক্ষণ পানিতে রেখে হালকা ভাবে ফুটালে বরই পাতা থেকে কিছু নির্যাস বের হয় যাকে বরই পাতার গরম পানি বলতে পারি। এরপর সেই হালকা গরম পানি দিয়ে এলার্জির স্থানে ধুয়ে দিলে অথবা সেই গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ধীরে ধীরে এলার্জি সমস্যার সমাধান হবে। তবে সপ্তাহে অন্তত দুই তিন দিন এভাবে বরই পাতার গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।এটি এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং এলার্জির জন্য উপকারী। সুতরাং আমরা বলতে পারি বরই পাতার উপকারিতা এলার্জির জন্য অনেক বেশি। 

বরই পাতার রস এর উপকারিতা

আমরা এখন জেনে নেব বরই পাতার রস এর উপকারিতা সম্পর্কে। বরই পাতার রস খাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে বরই গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করতে হবে।পাতাগুলো সংগ্রহ করার পর ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে কেননা এই পাতা থেকেই রস করব আমরা। বরই পাতার রস বের করার জন্য পাতাগুলোকে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে অথবা আপনার শিলপাটায় ভালো করে পিষে নিতে হবে। পাতাগুলো ব্লিন্ড করা হলে তারপর সে রস কাপড় দিয়ে অথবা ছাকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেওয়ার পর এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ লবণ দিয়ে এটিকে ভালো করে মিশিয়ে, সকাল বেলা খালি পেটে এই রেমেডি পান করতে হবে। ফলে আপনার এলার্জি দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ্‌। সকালে খালি পেটে বরই পাতার রসটি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাবেন। 

বরই পাতার রস এর উপকারিতা হল এটি এলার্জির জন্য উপকারী। এছাড়াও কারো যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে বরই পাতার রস খেতে পারেন।

বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ

আমরা এখন জেনে নেব বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ সম্পর্কে। বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ বলতে বোঝানো হচ্ছে কারো উপর যদি জাদু করা হয় তার চিকিৎসা এই গোসলটি খুবই উপকারী । বিভিন্ন যুগের অনেক বিখ্যাত আলেমদের সাজেস্টেড পদ্ধতি এটা। আপনারাও চাইলে পরীক্ষা করতে পারেন। আজ আমরা সংক্ষেপে বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ পদ্ধতি জানব।

প্রথমে গোসলের জন্য এক বালতি পানি নিতে হবে এরপর সাতটি বরই পাতা (কুল বলা হয় অনেক এলাকায়) বেটে পানিতে মেশাতে হবে। এরপর নিম্নোক্ত সূরা গুলো আমাদের পড়তে হবে।

  • সূরা ফাতিহা – ৩ বার
  • আয়াতুল কুরসি – ৩ বার
  • সুরা আরাফ ১১৭-১২২ (৩বার)
  • সুরা ইউনুস ৮১-৮২ (৩বার)
  • সুরা তহা ৬৯ (৩বার)
  • সুরা ইখলাস – ৩ বার
  • সুরা ফালাক – ৩ বার
  • সুরা নাস – ৩ বার

পড়ার মাঝে মাঝে পানিতে ফুঁ দিতে পারেন। এরপর এখান থেকে তিন ঢোক পানি পান করুন, বাকিটা দিয়ে গোসল করে ফেলুন। যদি গোসলের পানি খাওয়ার অনুপযোগী হয় তবে খাওয়ার পানি আলাদা করে নিবেন। এরপরে বরই পাতা পিষে উভয় পানিতে দিয়ে আয়াতগুলো পড়ে উভয় পানিতে ফুঁ দিবেন। এরপরে খাওয়ারটা খেয়ে নিবেন।ইনশাআল্লাহ প্রথম গোসলেই যাদু নষ্ট হয়ে যাবে। প্রয়োজনে একই নিয়মে আরো কয়েকদিন গোসল করতে পারেন।

শেষ কথাঃ | বরই পাতার উপকারিতা | বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বরই পাতার উপকারিতা এলার্জির জন্য কত সেই সম্বন্ধে অবগত ছিলেন না তাদের সুবিধার্থে এই পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি বরই পাতার উপকারিতা এলার্জি, বরই পাতার গুনাগুন, বরই পাতার রস এর উপকারিতা, বরই পাতার গরম পানি, বরই পাতার গুন, বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।

পোষ্ট টি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার আত্মীয়-স্বজন এবং প্রিয়জনদের সাথে যেন তারাও বরই পাতার উপকারিতা এলার্জির জন্য কত সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারে একই সাথে তারা যেন জেনে নিতে পারে বরই পাতার গোসল রুকইয়াহ সম্পর্কে।