মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ

আপনি কি মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানেন? মনিটরের
অনেক প্রয়োজন রয়েছে আবার মনিটরের মধ্যে অনেক প্রকারের রয়েছে। এগুলো যদি জেনে
থাকেন তবে আজকের পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকের পর্বে আলোকপাত
করবো মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে। আমরা অনেকেই
মনে করি মনিটর মানে একটি টিভি কিন্তু এই ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। মনিটরের অনেক
প্রকারভেদ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি –
মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিতসহ।

মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি - মনিটরের প্রকারভেদ

মনিটর অনেক প্রকার হয়ে থাকে। আপনি কি ধরনের কাজ করবেন তার উপরেও নির্ভর করে
আপনি কোন ধরনের মনিটর ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন অনুসারে মনিটরের প্রকারভেদ তৈরি
করা হয়েছে। আবার অনেকেই মনে করে মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি বা কোন কাজে মনিটর
ব্যবহার করা হয়। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি –
মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ

মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি

মনিটরের প্রধান কাজ হল যেকোনো ডেটার ফলাফল প্রদর্শন করা। অর্থাৎ আপনি মনিটরের
মাধ্যমে গেম খেলা, ভিডিও দেখা, ফটো টেক্সট ইত্যাদি দেখতে পারবেন। মনিটর হল আউটপুট
ডিভাইস। আমরা কম্পিউটারকে কোন ইনপুট দিলে সিপিইউ সেটা প্রসেসিং করে এবং মনিটরের
মাধ্যমে আমাদেরকে আউটপুট প্রদর্শিত করে। মনিটরের কাজ হল ভিডিও ফটো টেক্সট ইত্যাদি
এয়ারপোর্ট প্রদর্শিত করা। আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটারের সিপিইউ এর সাথে
মনিটরের ডিসপ্লে এডিটর হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে

আরো পডুন ঃ গুগলের মালিক কে – গুগলের প্রতিষ্ঠাতা কে

আর আমাদের ব্যবহৃত প্রতিটা কম্পিউটারে একটি করে গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত করা থাকে
আর এই গ্রাফিক্স কার্ডের মাধ্যমে যেসব ইনফরমেশনগুলো প্রসেস হয় সেগুলো আমরা
মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পাই। এক কথায় মনিটরের প্রয়োজনীয়তা হলো আমরা কম্পিউটারের
মাধ্যমে যে কাজগুলো করে থাকি সেগুলো মনিটরের ডিসপ্লের মাধ্যমে দেখা। আশা করি
বুঝতে পেরেছেন মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি।

মনিটরের প্রকারভেদ

মনিটর প্রধানত তিন প্রকার হয়ে থাকে।
  • LED Monitor (এল ই ডি মনিটর)
  • CRT Monitor (সি আর টি মনিটর)
  • LCD Monitor (এল সি ডি মনিটর)

LED Monitor (এল ই ডি মনিটর)

LED এর পূর্ণরূপ হলো(Light-emitting diode)। LED ডিজিটাল মনিটর
বলা চলে। এলইডি মনিটর দেখতে অনেকটাই এলসিডি মনিটরের মত। প্রথমেই বলে রাখি
এলইডি মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ কম।LED মনিটরের ইমিটিং কোডে ব্যাক লাইট
ব্যবহার করা হয়। এর ফলে এর পিকচার কোয়ালিটি অসাধারণ এবং অন্যান্য মনিটরের
তুলনায় বিদ্যুৎ খরচ কম হাওয়াই ইলেকট্রিক বিল কম আসে। বর্তমানে এলইডি মনিটর এর
ব্যবহার সবথেকে বেশি।

CRT Monitor (সি আর টি মনিটর)

সি আর টি এর পূর্ণরূপ হলো (ক্যাথোড রে টিউব)। আগেকার দিনে অর্থাৎ 15 বছর আগে
সিআরটি মনিটর ব্যবহার করা হতো। সিআরটি মনিটর দেখতে অনেকটাই পুরনো দিনের টিভির
মতো। সিআরটি মনিটর এর অধিক পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই মনিটরে vacum
tube রয়েছে যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এই মনিটরগুলোর ওজন অনেক বেশি এবং
আকারে অনেক বড়।

LCD Monitor (এল সি ডি মনিটর)

এলসিডি এর পূর্ণরূপ হলো(লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে)। মনিটর সিআরটি মনিটর এর
আপডেট ভার্সন। এলসিডি হলো ফ্লাট ডিসপ্লে প্রযুক্তি যা কম্পিউটার মনিটর, টিভি,
ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও ক্যালকুলেটর এ ব্যবহার করা হয়। সিআরটি মনিটর এর তুলনায়
এলসিডি মনিটর অনেক পাতলা এবং এর রেগুলেশন অনেক ভালো।

আরো পডুন ঃ মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় – মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

সিআরটি মনিটর এর তুলনায় এলসিডি মনিটরের বিদ্যুৎ খরচ কম। আশাকরি এতক্ষণে নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন মনিটরের প্রকারভেদ বা মনিটর কত প্রকার।

মনিটর কিভাবে কাজ করে

আপনি কি জানেন মনিটর কিভাবে কাজ করে। তবে জেনে নিন মনিটর কিভাবে কাজ করে সেই
সম্পর্কে।মনিটরে অসংখ্য পিক্সেল থাকে। প্রত্যেকটি পিক্সেলে আলাদা আলাদা তিনটি
করে কালার থাকে। Red,Green,blue যাকে আর জি বি বলা হয়। এই লাইট গুলোর প্রতিটি
পিক্সেল এ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভাবে চলতে থাকে। কোন সময় বেশি কোন
সময় কম অর্থাৎ সিপিইউ নির্দেশ মতো পিক্সেলগুলো কাজ করে থাকে। যেমন নির্দেশ
দেয় সে রকম রং প্রতিটি পিক্সেলে প্রতিফলিত হয়। আবার
প্রত্যেকটি  পিক্সেল এ আলাদা আলাদা ঠিকানা রয়েছে। সিপিইউ
প্রসেসিংয়ের পর মনিটরকে নির্দেশ দেয় প্রতিটি পিক্সেল কি রঙের আলো দিবে। সেই
অনুযায়ী মনিটরে ছবি ফুটে ওঠে এবং একাধিক চিত্র ফুটে ওঠার ফলে আমরা মনিটরে
ভিডিও দেখতে পারি। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন মনিটর কিভাবে কাজ করে।

মনিটর কাকে বলে

আপনি কি জানেন মনিটর কাকে বলে? চলুন জেনে নেওয়া যাক মনিটর কাকে বলে।মনিটর হলো
এক ধরনের ইলেকট্রনিক আউটপুট ডিভাইস। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক হার্ডওয়ার আউটপুট
ডিভাইস এ কম্পিউটার সিস্টেমের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এরপর প্রাপ্ত ফলাফল দেখতে পাই
তাকে মনিটর বলে। মনিটর VDT বা VDU নামেও পরিচিত। কম্পিউটারকে কোন ইনপুট
দিলে কম্পিউটার সিপিইউ তে ডাটা প্রসেস করে এবং মনিটরের মাধ্যমে আমাদেরকে আউটপুট
দেয়। আমরা কিবোর্ড এ যদি A টাইপ করি সেটা সিপিইউ তে প্রসেসিং হয় এবং মনিটরে
আমরা আউটপুট দেখতে পাই।
আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন মনিটর কাকে বলে। আজকের পর্বটি মনোযোগ সহকারে
পড়লে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি এবং মনিটরের
প্রকারভেদ সম্পর্কে।

মনিটরের বৈশিষ্ট্য

এই পর্বে আলোকপাত করবো মনিটরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নত
হওয়ায় এবং প্রযুক্তির সকল পণ্যের দাম কমে আসার কারণে এবং মনিটরের প্রকারভেদ
এর কারণে মানুষ অল্প টাকায় উচ্চমানের মনিটর কিনতে পারছেন। তেমনই কিছু মনিটরের
বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলোঃ

লোন-ইন্টারলেসড

এটা মনিটরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। টেলিভিশনের ছবি চোখের দেখায় এবং
গতিময় রাখার জন্য প্রতিটি ছবিতে ফিল্ম হিসেবে পাঠানো হয়। একটা মেয়ে ২৫টি
লাইন থাকে। গতিময় রাখার জন্য এক ফ্রেম কে অন্য ফ্রেমের উপর ১,৩,৫,৭ ও ২,৪,৬,৮
পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিকে ইন্টারলেসিং বলে। কম্পিউটারের
কার্যগতি টেলিভিশনের ফ্রিকোয়েন্সি থেকে অনেক বেশি হয়।

রেজুলেশন

একটা মনিটর এর রেজুলেশন যত বেশি মনিটর তত ভালো হবে অর্থাৎ মনিটরের অক্ষর বা ছবি
পরিস্কার ও স্পষ্ট দেখা যায়। মনিটরের পর্দাকে কোনাকুনি এবং লম্বালম্বি
অনেকগুলো রেখায় ভাগ করা হয় আর এই ভাগ গুলো কে রেজুলেশন বলে।
যেমন 1024*764, 640*480 ইত্যাদি রকমের হয়ে থাকে।

পিক্সেল বা পিচ

কোনাকুনি বা আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি রেখার cross-section এর diameter কে
পিক্সেল বলে। পিক্সেল যত কম হবে মনিটর তত ভালো হবে। অন্যদিকে পিক্সেল
রেজুলেশনের বিপরীত অর্থে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে 0.28 মিলিমিটারের পিক্সেল এর
মনিটর ব্যবহৃত করা হচ্ছে।

মাল্টি ফ্রিকোয়েন্সি

মাল্টি ফ্রিকুয়েন্সির বৈশিষ্ট্য হলো মনিটর অক্ষর প্রদর্শনের সময় এক
সফটওয়্যার থেকে অন্য সফটওয়্যার  এ পরিবর্তনের কারণে চিত্র ও লেখা
একইসঙ্গে দেখানোর সময় কম্পমান হবে না এবং চোখের কোন ক্ষতি বা চোখের উপর কোন
চাপ পড়বে না। আশা করি মনিটরের বৈশিষ্ট্য খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন

কোন ধরনের মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ বেশি

প্রত্যেক মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় না। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের
মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন
কোন ধরনের মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ বেশি।সিআরটি মনিটরের সবথেকে বিদ্যুৎ খরচ বেশি। এই
মনিটর গুলো অনেক পূরণ মডেল।আগেকার দিনে অর্থাৎ 15 বছর আগে সিআরটি মনিটর ব্যবহার
করা হতো। সিআরটি মনিটর দেখতে অনেকটাই পুরনো দিনের টিভির মতো। সিআরটি মনিটর এর
অধিক পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই মনিটরে vacum tube রয়েছে যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ
বেশি হয়। এই মনিটরগুলোর ওজন অনেক বেশি এবং আকারে অনেক বড়। এতক্ষণে নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন কোন ধরনের মনিটরে বিদ্যুৎ খরচ বেশি।

মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ এর শেষ কথা

আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি এবং মনিটরের
প্রকারভেদ মনিটর কত প্রকার। মনিটর করার আগে অবশ্যই আমাদের এসকল কিছু দেখেশুনে
জেনে কিনতে হবে। মনিটর আপনি কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন অথবা কি কাজে ব্যবহার
করবেন সেটা বিবেচনা করে মনিটরের প্রকারভেদ অনুযায়ী মনিটর ব্যবহার করতে
হবে। মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি – মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে আপনার যদি
কোন মতামত থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং মনিটরের প্রয়োজনীয়তা কি
এবং মনিটরের প্রকারভেদ সম্পর্কে আপনার বন্ধুদের জানাতে অবশ্যই শেয়ার করবেন। @
22882