মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলা

মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমাদের মধ্যে
অনেকেই আছে যারা মোটা হতে চাই কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরও তাদের শরীরের ওজন
বাড়াতে পারে না। আজকের এই আর্টিকেলে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
বিশেষ করে আপনারা যারা মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চায় তাদের জন্য আজকের
এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মোটা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলা

মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলাঃ ভূমিকা

প্রিয় বন্ধু আপনি কি মোটা হতে চান? আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনেক চেষ্টা
করার পরও মোটা হতে পারে না। যারা বিভিন্ন রকম খাবার খাই ঔষধ খাই তারাও মোটা হতে
পারে না। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। তার
সাথে মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায়, মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ, মোটা
হওয়ার ঔষধ, মোটা হওয়ার সাপ্লিমেন্ট আলোচনা করা হবে আজকের এই
আর্টিকেলের।

মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলা

আপনি যদি মোটা হতে চান খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল
আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচে মোটা হওয়ার ফর্মুলা আলোচনা করা হলো।

ব্যায়াম করতে হবেঃ

আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে শুধু ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে হয়।
জেনে রাখুন এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে হয় ঠিক তেমন
ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করতে হয়। এককথায় সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম করা অতি
গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করতে
থাকুন।

বেশি করে খাবার খাবেনঃ

আমরা অনেকেই আছি যারা মোটা হতে চাই কিন্তু বেশি করে খাবার খেতে চাই না। এমনটা
করলে কখনোই মোটা হওয়া যাবে না বেশি করে খাবার খেতে হবে। যখন খাবেন তখন আপনার
পেটে যেটুকু ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সবটুকু পূর্ণ করে খাবেন এর থেকে বেশি খাওয়ার
প্রয়োজন নেই। কিন্তু অনেকে আছে যারা পেট খালি করে খেয়ে থাকে। তাই মোটা হতে হলে
অবশ্যই বেশি করে খেতে হবে।

বারবার খেতে হবেঃ

আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে দিনে বারবার খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রতি দুই
ঘন্টা পর পর অল্প করে কিছু খেতে হবে। যার কারনে আপনার শরীলে পুষ্টি এর পাশাপাশি
ওজন বৃদ্ধি পাবে। এটি হলো মোটা হওয়ার একটি সহজ উপায়।

আরো পডুন ঃ গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা (১-৯ মাস) পর্যন্ত বিস্তারিত জেনে নিন

বেশি বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবেঃ

আমরা যারা ওজন কমাতে চাই সাধারণত তারা কম করে ক্যালরি গ্রহণ করি। কিন্তু আপনি যদি
ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন
বৃদ্ধি করার জন্য শরীরের চাহিদা অনুযায়ী বেশি ক্যালরি নিতে হবে। এর জন্য
প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে হবে।

দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবেঃ

আমাদের ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করা।
আপনি যদি আপনার ওজন সঠিক রাখতে চান এবং ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।

বাদাম জাতীয় খাদ্য খেতে হবেঃ

বাদাম জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফ্যাট যা ওজন
বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
অবশ্যই বাদাম জাতীয় খাবার খাবেন। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাদাম জাতীয়
খাবার খাবেন। ওজন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে হবেঃ

আমাদের শরীরের জন্য ঘুম অতি গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে অবশ্যই
৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে তাহলেই শরীরের ওজন
বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদি শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে না পারে
তাহলে ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জানতে চাই।
তাদের জন্য এখন আমরা মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যেসব
ইসলামিক উপায়ে মেনে আপনি মোটা হতে পারবেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায়ঃ

আপনি যদি মোটা হওয়ার ইসলামিক উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে খেজুরের সাথে শসা খেতে
পারেন। এই বিষয়ে হযরত আয়েশা রাঃ বর্ণনা করেছেন, আমার মায়ের ইচ্ছা
ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়া হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নিকট পাঠাবেন। এটার জন্য
তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, যেগুলো থেকে কোনরকম উপকার পাওয়া যায়নি।
শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুর এর সাথে শসা খাওয়াতে থাকেন যার ফলে আমি আগের
তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছিলাম।

আরো পডুন ঃ নাকের পলিপাস অপারেশন খরচ – বিনা অপারেশনে নাকের পলিপাস চিকিৎসা

আব্দুল্লাহ ইবনু জাফর রাঃ বলেন, নবী করিম সাঃ শসা খেজুরের সাথে
একত্রে খেতেন। তাই খেজুর আর শসা একসঙ্গে খাওয়া হলো সুন্নত। আপনারা যারা মোটা
হওয়ার ইসলামিক উপায় খুঁজে থাকেন তারা অবশ্যই খেজুর এবং শসা একসাথে খেয়ে
দেখুন। অল্পদিনের মধ্যেই মোটা হতে পারবেন।

মোটা হওয়ার সাপ্লিমেন্ট

প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা মোটা হওয়ার সাপ্লিমেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের
মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোটা হওয়ার সাপ্লেমেন্ট জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের এই
আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এখন আমরা মোটা হওয়ার
সাপ্লিমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সুষম খাদ্য গ্রহণ করাঃ

মোটা হওয়ার জন্য কোন খাবার খেতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে একজন
পুষ্টিবিদদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা প্রোটিন ভিটামিন
চর্বি জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রতিদিন আপনাকে প্রচুর পরিমাণে
পানি পান করতে হবে যেন আপনার শরীরে কখনো পানিশূন্যতা দেখা দেয় সেদিকে খেয়াল
রাখে।

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবেঃ

আপনি যদি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চান অর্থাৎ মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত
ব্যায়াম করতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে ব্যায়াম শুধু
শরীরের ওজন কমানোর জন্য করা হয়। এমনটা ঠিক নয় ব্যায়াম করা হয় শরীরের ওজন
বৃদ্ধি করার জন্য। আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে খিদা
লাগবে এবং আপনার খাওয়ার পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে যার ফলে আপনার শরীর মোটা
হবে।

বেশি পরিমাণ খেতে হবেঃ

প্রথম আপনাকে খাবারের সময় ঠিক করতে হবে। সকালে সকালে নাস্তা খেতে হবে এরপর
দুপুরে খেতে হবে এবং রাতে পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে তাহলে আপনার শরীরের ওজন
বৃদ্ধি পাবে। এর জন্য আপনাকে সময় মতো খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ কমাতে হবেঃ

আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে আপনাকে
নিয়মিত ঘুমাতে হবে। আপনার শরীরে কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন ততটুকুই ঘুমাতে হবে। এর
থেকে বেশি ঘুমানো যাবে না আবার এর থেকে কম ঘুমালে শরীরের ক্ষতি হবে।

মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ – মোটা হওয়ার ঔষধ

আমরা অনেকেই আছি যারা মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের
জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার ঔষধ অর্থাৎ মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক
ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো খেলে অবশ্যই আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোটা
হতে পারবেন। তো চলুন মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ গুলো জেনে নেওয়া যাক।

মোটা হওয়ার ঔষধঃ

Ciplactin: এই ওষুধ খাওয়ার ফলে মানুষের ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
এবং রক্তচাপ কমে যায় ক্লান্ত অনুভব হয় এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই
আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন।

Betnesol: এই ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনার খিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং
অল্প সময়ের মধ্যে মোটা হবেন। যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনি এ ওষুধ খেতে থাকেন তাহলে
বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন চুলকানি।

Practin: ঔষধ খাওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। কিন্তু আপনি
যদি দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে
যেমন মাথা যন্ত্রণা করা হাত পা ঝিমঝিম করা মাথা ঘোরা ইত্যাদি।

Dexona: সাধারণত এই ঔষধটি এলার্জি হাঁপানি ক্যান্সার রোগ এর জন্য
ব্যবহার করা হয়। অনেকে আছে যারা মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ কিনে খায়। দীর্ঘদিন
ব্যবহার করার ফলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মোটা হওয়ার ব্যায়াম

মোটা হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমাদের মধ্যে
অনেক বড় ভুল ধারণা রয়েছে যে মানুষ শুধু ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করে থাকে।
কিন্তু বিষয়টা এমন নয় মানুষ তাদের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য ব্যায়াম করে থাকে।
আপনি যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু ব্যায়াম রয়েছে
সেগুলো করতে হবে। নিচে মোটা হওয়ার ব্যায়াম আলোচনা করা হলো।

আরো পডুন ঃ  ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি ঘরে বসেই কোনরকম যন্ত্র ছাড়াই মোটা হওয়ার ব্যায়াম করতে পারবেন। যার
জন্য আপনাকে কোন ধরনের ব্যায়াম এর উপকরণ ব্যবহার করতে হবে না। এ ধরনের
ব্যায়াম গুলো শরীরের মাংস পেশি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

  • পুশ আপ
  • পুল আপ
  • প্লাঙ্ক

অনেকেই চিন্তা করে যে ব্যায়াম করার ফলে শরীরের ক্যালরি নষ্ট হচ্ছে তাই ওজন
বৃদ্ধি পাবেনা আর ওজন কমে যাবে। ব্যায়াম গুলো করার সাথে সাথে আপনাকে নিয়মিত
খাবার খেতে হবে। আমরা খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখতে
হবে।

মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলাঃ উপসংহার

মোটা হওয়ার উপায়, মোটা হওয়ার ফর্মুলা, মোটা হওয়ার ব্যায়াম, মোটা হওয়ার
প্রাকৃতিক ঔষধ, মোটা হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পেরেছেন। আপনাকে বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা সত্যিই অনেক আনন্দিত। আপনার
এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।