ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

প্রিয় পাঠক আপনি যেহেতু এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তারমানে নিশ্চয়ই আপনি
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সেই
বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা
আমাদের এই পোস্টের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং
এ কি কি কাজ করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং,
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সেই বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জেনে নিন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি - ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

এছাড়াও আমাদের এই পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড আরো যেসব টপিক নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে সেগুলো হলো- ফ্রিল্যান্সিং কি, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে,
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূ্‌হ, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন,
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং কোথায়
শিখব, ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম ইত্যাদি। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – ফ্রিল্যান্সিং এ
কি কি কাজ করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়ঃ
ভূমিকা

বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থান এবং জনসংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত
বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই দেশের শিক্ষিত যুব সমাজের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের চাকরি
পাওয়ার বিষয়টি অপেক্ষাকৃত জটিল হয়ে পড়েছে।কেননা বাংলাদেশের
কর্মসংস্থানের তুলনায় বর্তমানে এদেশের শিক্ষার হার অধিক বেড়ে গেছে। যার ফলে
দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েরা তাদের পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির
বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে ব্যর্থ
হচ্ছে। তাই এখনকার সময়ের দাবীতে অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরাই
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ইনকাম সাইট – মোবাইলে ইনকাম করার উপায়

আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার পূর্বে অধিকাংশ ছেলে-মেয়েরা
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে
ভোগেন। তাই আমরা ঠিক করেছি যে, আজকে আমরা এই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরের যাত্রাকে সফল করে তোলার উদ্দেশ্যে আমাদের এই পোস্টের মধ্যে
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই বিষয়ে সঠিক গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা
করব। সুতরাং, আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে
চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

আশা করছি আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের
চাহিদা বেশি সেটা খুব ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের মূল আলোচনা
শুরু করার পূর্বে প্রথমেই জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে।

ফ্রিল্যান্সিং কি । ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি অনলাইন ভিত্তিক স্বাধীন পেশা। যেখানে আপনি প্রতিদিন আপনার
সুবিধামতো কোন এক সময়ে বাসায় বসে থেকে নিজের ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কিংবা
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত থেকে কিছু নির্দিষ্ট অনলাইন বা প্রযুক্তি
ভিত্তিক কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সবচেয়ে বড়
সুবিধা হলো এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত যেকোনো সময়ে কাজ কমপ্লিট করে টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং না করে কোন প্রতিষ্ঠানে
চাকরি করতেন তাহলে অবশ্যই সেখানে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনাকে কাজ
করতে হত। 

আর এই দিক থেকে বিবেচনা করে ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা। আবার চাকরির
ক্ষেত্রে যেমন আপনি চাকরিরত অবস্থায় যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান অধীনেই কাজ করতেন, ফ্রিলান্সিং পেশায় মোটো এমনটা হয় না। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি
আপনার পছন্দমত কোন এক বায়ারের কাজ করে টাকা ইনকাম করার পর আপনি চাইলে
পরবর্তীতে ওই একই বায়ারের কাজ না করে অন্য কোন বায়ারের কাজ করেও টাকা ইনকাম করতে
পারবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় চাকরির মত প্রতিদিন অফিস টাইমে অফিসে
গিয়ে কাজ করতে হয় না। 

আপনি আপনার বাসায় বসে থেকেই নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো
কমপ্লিট করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। প্রিয় পাঠক আশা করছি এতক্ষণে
নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং কাকে
বলে। তাহলে চলুন এবার আমরা আমাদের আলোচনার পরবর্তী অংশে ফ্রিল্যান্সিং এর
কাজ সমূহ বা ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাবলী
বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ । ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় মূলত অনেক ধরনের কাজ করে সহজেই ইনকাম করা
যায়। আর এক্ষেত্রে মজার বিষয় হলো এই পেশায় প্রচুর পরিমাণে কাজের
ভ্যারাইটি থাকায় অধিকাংশ মানুষ তাদের পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী কাজের ধরন
নির্বাচন করার পর কাজ করে সহজেই টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হয়। ফ্রিল্যান্সিং
পেশায় মূলত কি কি কাজ করা হয় এই সম্পর্কে অনেকেরই জানার ঘাটতি
রয়েছে। আর আপনারও যদি এই বিষয়ে জানার ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে নিম্নে
উল্লেখিত ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বা ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় সে
সম্পর্কিত বিষয়বস্তু গুলো ভালোভাবে পড়ে নিন।

কনটেন্ট রাইটিং

বর্তমান বিশ্বে কনটেন্ট রাইটিংয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই যারা লেখালেখি
করতে পছন্দ করেন বা লেখালেখি করার দক্ষতা রয়েছে তারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং পেশায়
কনটেন্ট রাইটিংকে বেছে নিতে পারেন। আবার কনটেন্ট রাইটিংয়ের যেমন চাহিদা রয়েছে
তেমনি কাজের মান অনুযায়ী এই পেশায় অনেক টাকা ইনকাম করাও যায়। কনটেন্ট রাইটিং
এর মধ্যে বেশ কতগুলো প্রকারভেদ রয়েছে। আর এগুলো হলোঃ

  • আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট রাইটিং।
  • কপিরাইটিং।
  • ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং।
  • টেকনিক্যাল রাইটিং।
  • সিভি বা কভার লেটার রাইটিং।
  • ক্রিয়েটিভ রাইটিং।
  • বুক রাইটিং।
  • স্ক্রিপ্ট রাইটিং।
  • অ্যাক্যাডেমিক রাইটিং।
  • রিসার্চ ওয়ার্ক এন্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রডাক্ট রাইটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
গুলোতে আপনি চাইলেই অনেক কাজের অর্ডার খুব সহজেই পেতে পারেন। তবে মার্কেটপ্লেস
গুলোতে কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং এর
চাহিদা রয়েছে। কেননা এই মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে
বিদেশী বায়াররাও তাদের কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করিয়ে নিয়ে
থাকে। কিন্তু মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কতগুলো বাংলাদেশী লোকাল ওয়েবসাইট
রয়েছে যেগুলোতে বাংলায় লেখা-লিখি করেও আয় করা সম্ভব।

ডিজিটাল মার্কেটিং

আমরা জানি বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনযাত্রার সবকিছুই ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। যার
ফলে এখন বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং এর কাজ গুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সমূহের মাধ্যমেই
করা হয়। আর সেজন্যই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর
চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যেও আবার
কতগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। যেখান থেকে আপনি চাইলে যেকোনো একটি ক্যাটাগরিকে
বেছে নিয়েও কাজ করে সফল হতে পারেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই ধরনের
ক্যাটাগরি গুলো হলোঃ

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  • ইমেইল মার্কেটিং।
  • কনটেন্ট মার্কেটিং।
  • পিপিসি (পে পার ক্লিক)
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • মোবাইল মার্কেটিং।
  • ভিডিও মার্কেটিং ইত্যাদি।

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং পেশায় একটি অন্যতম সেক্টর হলো ওয়েব ডিজাইন এন্ড
ডেভেলপমেন্ট। সারা বিশ্ব জুড়েই এই পেশায় কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে আর চাহিদার
তুলনায় এই বিষয়ে দক্ষ লোকের অভাবও রয়েছে।কেননা ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
বিষয়ে নিজেকে ভালোভাবে দক্ষ করে তুলতে হলে প্রয়োজন হয় অনেক সময় এবং শ্রম ব্যয়
করা। আর অনেকেই এটা করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে নিজেকে পুরোপুরি ভাবে দক্ষ করে
তুলতে পারে না। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইন মার্কেটিং সাইট – অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা

আবার অন্যান্য সেক্টরের কাজের তুলনায় ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের
কাজ তুলনামূলক ভাবে কিছুটা জটিল। আর তাইতো এই কাজে দক্ষ
ফ্রিল্যান্সারদের কাজের রেটও বেশী। এছাড়াও যেহেতু সারাবিশ্বে প্রতিদিন নতুন নতুন
ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আর এই ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর জন্য
প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার
করা হচ্ছে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কাজের নাম হলো গ্রাফিক্স
ডিজাইন। বর্তমানে যে কোন বিজনেস, ওয়েবসাইট কিংবা যে কোন কোম্পানির
লোগো ডিজাইন করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার প্রয়োজন
হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং সেক্টরেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের সাহায্যে
বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে মার্কেটিং করা হয়। যার ফলে সারাবিশ্বে বর্তমানে
গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন
সেক্টরে কাজ করে একটা হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্টের অর্থ উপার্জন করাও সম্ভব
হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কতগুলো উল্লেখযোগ্য শ্রেণীবিভাগ হলোঃ

  • লোগো ডিজাইন।
  • ইউ আই এন্ড ইউ এক্স ডিজাইন।
  • ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন।
  • অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ডিজাইন।
  • মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • পাবলিকেশন্স গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • আর্ট এন্ড ইলাস্ট্রেশন্স ফর গ্রাফিক্স ডিজাইন।

এগুলো ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আরো কতগুলো প্রধান প্রধান কাজ করার মাধ্যমে
ইনকাম করা সম্ভব। চলুন তাহলে এবার সেই সব কাজ গুলোর সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয়
করিয়ে দেয়।

  • ভিডিও এডিটিং।
  • একাউন্টিং এন্ড কনসাল্টিং।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।
  • প্রোগ্রামিং এন্ড টেক।
  • ডাটা এন্ট্রি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো । কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমেই যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং
এর কাজগুলোতে দক্ষতা অর্জন করার প্রয়োজন হয়। তাই ফ্রিলান্সিং পেশায়
কাজ শুরু করার পূর্বে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং
শিখবো সেই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে
শিখবো বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো এই বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা
আমরা এখন এই বিষয় সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন আপনাদেরকে দিতে চলেছি।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেকগুলো পথ রয়েছে। যেমন
ধরুন ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পেইড বা ফ্রি কোর্স করা,
ইউটিউব ভিডিও দেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা কিংবা কোন স্বনামধন্য
প্রতিষ্ঠানের আওতায় অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা। আপনি চাইলে এই
পথ গুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি পথকে বেছে নিয়ে সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বিষয়ে আমরা আপনাকে এটাই পরামর্শ দিব যে,
আপনি যেকোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের আওতায় অফলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন। 

কেননা এই কাজটা করার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে ভালো
গাইডলাইন এবং ফলাফল পাবেন। অন্যদিকে আপনি যদি অনলাইনে বিভিন্ন পেইড কোর্স বা
ফ্রী কোর্স করে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে যে সমস্যাটি দেখা যায় সেটা হলো
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক গাইডলাইন এর অভাব দেখা যায়। আর
সেইসঙ্গে হাতে-কলমে ধরে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয় না বলে
এইরকম অনলাইন ভিত্তিক পেইড কোর্স কিংবা ফ্রী কোর্স গুলো থেকে খুব ভালোভাবে
ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব হয় না। সুতরাং, খুব ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে
চাইলে আপনি যেকোনো একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অফলাইন কোর্সে
ভর্তি হতে পারেন। 

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, কোন প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে ফ্রিল্যান্সিং শেখা
আপনার জন্য ঠিক হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা আপনাকে বর্তমান বাংলাদেশের
অন্যতম সেরা ফ্রিল্যান্সিং লার্নিং সেন্টার
অডিনারি আইটির কথা
বলতে পারি। কারণ বর্তমানে অর্ডিনারি আইটি খুব কম খরচে উন্নত মানের
ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা দিচ্ছে। এছাড়াও অডিনারি আইটিতে অত্যন্ত যত্ন সহকারে
সবকিছু শেখানো হয় এবং প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায়
সফল হতে সাহায্য করা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার পূর্বে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কোন
কাজের চাহিদা বেশি এই বিষয়টা জেনে কাজ শুরু করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সফল হতে
পারবেন। তাই আমরা এখন ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা নিয়ে
ব্যাখ্যা করব।

মূলত ফ্রিল্যান্সিং পেশায় প্রতিটি কাজেরই বর্তমানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে
কোনো কোনো কাজ অত্যন্ত সহজ হওয়ায় মার্কেটে এর প্রতিযোগীদের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং
কাজের পেমেন্টও কম হয়ে যায়। আবার দেখা যায় যে, কোন কোন কাজ কিছুটা জটিল হওয়ার
কারণে এর প্রতিযোগীদের সংখ্যা মার্কেটে কম হওয়া সত্বেও অধিকাংশ মানুষ
ফ্রিল্যান্সিং পেশায় এই ধরনের কাজ করতে আগ্রহী হয় না। যার ফলশ্রুতিতে যে কাজটি
অপেক্ষাকৃত সহজ সেই কাজের প্রতিযোগিতা বেড়ে যায় এবং মার্কেটে কাজ পাওয়া
কষ্টকর হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় – মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

তাই আমরা বলবো যে, আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করার
পূর্বে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি সম্পর্কে না ভেবে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো একটা সেক্টরকে বেছে নিয়ে সেই সেক্টরে নিজেকে খুব
ভালোভাবে দক্ষ করে তুলুন। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি সফলতার দিকে এগিয়ে
যাচ্ছেন। আর যেহেতু ফ্রিলান্সিং পেশায় বর্তমানে প্রতিযোগীদের সংখ্যা প্রচুর
পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এই পেশায় নিজেকে খুব ভালোভাবে দক্ষ করে তুলতে না
পারলে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না। কারণ সব জায়গায়তেই সাধারণত দক্ষ
মানুষদেরক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

প্রতিটি কাজের জন্যই কিছু বেসিক রিকুয়ারমেন্টের প্রয়োজন
হয়। ঠিক তেমনভাবেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করার পূর্বেও কিছু বেসিক
জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। আর এই বেসিক জিনিস পত্র গুলো আসলে কি বা
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন হয় সেই সম্পর্কে মূলত ৫টি বিষয়কে
তুলে ধরা যেতে পারে। আর এগুলো হলোঃ

  • ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য নিজস্ব ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ থাকা।
  • নিজস্ব স্মার্টফোন থাকা।
  • ইন্টারনেট কানেকশন থাকা।
  • ন্যূনতম ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কিল থাকা এবং
  • নিজের অনলাইন কমিউনিকেশনের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল প্রোফাইল থাকা।

উপরিউক্ত এই ৫টি জিনিস যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে ধরে নিবেন আপনি আপনার
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। অর্থাৎ, এই
সমস্ত জিনিসপত্র নিয়েই আপনি প্রাথমিক অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করতে
পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব

ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড অনেকগুলো
বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাদেরকে অবহিত করেছি। আর এখন আমরা আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে অবহিত করতে চলেছি। আর এই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবেন? যারা
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন তাদের ক্ষেত্রে
প্রথম অবস্থায় একটি প্রশ্নই মাথায় আসে। আর সেটা হলো ফ্রিল্যান্সিং কোথায়
শিখব? 

যদি আপনার মনেও এই ধরনের প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই। কেননা এখন
আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আপনাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে চলেছি। আপনি মূলত ফ্রিল্যান্সিং
শেখার জন্য আপনি ৩টি পথ অবলম্বন করতে পারেন। এগুলো হলোঃ

  • অনলাইনে পেইড কোর্স করা।
  • অনলাইনে ফ্রি কোর্স করা। যেমনঃ ফ্রি ইউটিউব ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং
    শেখা।
  • যেকোনো স্বনামধন্য ফ্রিল্যান্সিং লার্নিং সেন্টারের আওতায় অফলাইন কোর্স
    করা।

উপরিউক্ত এই ৩টি অপশনের মধ্যে ৩ নম্বর অপশনটি ব্যবহার করে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং
শেখেন তাহলে সব থেকে ভাল ফলাফল পাবেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর
যেখানে আপনাকে পরিপূর্ণভাবে দক্ষ হয়ে উঠে কাজ শুরু করতে হয়। আর
ফ্রিলান্সিং পেশায় পরিপূর্ণভাবে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য অনলাইন ভিত্তিক কোর্স
সমূহের তুলনায় অফলাইন ভিত্তিক কোর্সগুলো বেশি ফলপ্রসূ। কেননা
অফলাইন কোর্স গুলোতে আপনি যেকোন ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বিষয় হাতে-কলমে
শিখতে পারবেন। 

সেইসঙ্গে আপনি যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে সহজেই প্রশিক্ষকের সাহায্য নিয়ে
সমাধান করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং লার্নিং সেন্টার গুলোর মধ্যে
বর্তমানে
অডিনারি আইটি একটি
অন্যতম সেরা ফ্রিল্যান্সিং লার্নিং সেন্টার। এই প্রতিষ্ঠানে আপনি
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো বিষয়ের কোর্স খুব অল্প টাকায় কমপ্লিট করতে
পারবেন। তাছাড়া অর্ডিনারি আইটির প্রশিক্ষণ প্রদানের মান অনেক ভালো
হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সমস্ত পেশায় নিযুক্ত থেকে আমরা অর্থ উপার্জন করতে
পারি সেইসব পেশার সবগুলোর মধ্যেই হালাল-হারামের বিষয়টি জড়িত
রয়েছেন। যেমন ধরুন কোন কাজ করার সময় সেই কাজটি আপনি কিভাবে করছেন
বা আপনার করা কাজটির সঙ্গে কোন হারাম বিষয় সম্পর্ক যুক্ত রয়েছে
কিনা এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে সেই কাজটি হালাল নাকি হারাম সেটা নির্ধারিত
হয়। আর ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম এই প্রসঙ্গে বলতে নিলে বলা যায়
যে, প্রাসঙ্গিক দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পূর্ণ হালাল। 

কিন্তু যদি এই পেশায় নিযুক্ত থাকা অবস্থায় আপনি কোন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে
কাজ সম্পাদন করে থাকেন তবে অবশ্যই সেটা হারাম হয়ে যাবে। যেমন ধরুন ফ্রিলান্সিং
পেশায় আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করছেন। আর কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করার
সময় আপনি অন্যের কনটেন্ট চুরি করে নিয়ে এসে নিজের লেখা কনটেন্ট হিসেবে বায়ারের
কাছে বিক্রি করছেন। তাহলে সেক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং এর মত হালাল কাজটিও
হারাম কাজে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।আবার ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি
কোন ইসলামিক বিষয়ের প্রচার-প্রচারণার উদ্দেশ্যে ডিজাইন তৈরি করে মার্কেটিং
করলেন। 

তবে সেক্ষেত্রে তখন এই কাজটি সম্পূর্ণ হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কারো
ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে বা অনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের
কাজ করে থাকেন তাহলে তখন সেটা হারাম কাজে রূপান্তরিত হবে। সুতরাং,
ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম এই বিষয়ে বলা যায় যে, এটা সম্পূর্ণভাবে
আপনার কাজ করার ধরণ এবং নীতিগত উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভরশীল। আশা করছি এতক্ষণে
আপনি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি – ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা
যায়ঃ শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
কি, ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ
সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে
শিখবো বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা
বেশি, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সিং কোথায়
শিখব, ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড
প্রশ্নগুলোর সঠিক এবং সহজ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি আপনি যেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি পড়া শুরু করেছিলেন আপনার
সেই উদ্দেশ্যে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সফল হয়েছে। তাহলে আপনার
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করে আমাদের আজকের আলোচনা
এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।