|

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে জানার উপায় – tahablog

নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় – আপনি কি আপনার গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা বোঝার
উপায় খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায়
এসেছেন। কেননা এই পোস্টের মধ্যে আমরা গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা বোঝার
উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। তাহলে চলুন পোস্টটি মনোযোগ সহ পড়ে জেনে নেই  গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝার উপায় জেনে নিন

আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়ার মাধ্যমে আপনি আরও যেসব বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন সেগুলো হলো- ছেলে
সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি, মেয়ে হওয়ার লক্ষণ কি, ছেলে বাচ্চা পেটের কোন অংশে থাকে এবং , নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে জানার উপায় – tahablog 

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে জানার উপায় – tahablogঃ ভূমিকা

আমাদের দেশের অধিকাংশ গর্ভবতী নারীরা তাদের গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝার
উপায় জানার জন্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকে। আর এর
পাশাপাশি এই রকম গর্ভবতী নারীদের পরিবারের সদস্যরাও গর্ভের সন্তান ছেলে না
মেয়ে তা বোঝার উপায় জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে থাকে।সেজন্য আমরা আজকে
আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝার
উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে চলেছি। 

সুতরাং, অন্য কোথাও না গিয়ে বা মনোযোগ না হারিয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে আমাদের
এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। তবে আজকে আমাদের এই
পোস্টের মূল আলোচনা শুরু করার পূর্বে প্রথমেই আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ছেলে সন্তান
হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি ছেলে
সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে নিম্নের আলোচনাটুকু
পড়ে নিতে পারেন।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

প্রতিটি নারীর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো গর্ভকালীন সময়। আর
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীদের মনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মিশ্র অনুভূতি চলতে
থাকে। যেমন- আনন্দ, উৎকণ্ঠা, আবেগ, ভয়, কোন কিছু জানার
কৌতূহল ইত্যাদি। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীদের মনে জাগ্রত হওয়া এই ধরনের
অনুভূতি গুলোর মধ্যে কোন কিছু জানার কৌতুহলের অন্তর্ভুক্ত একটি
অনুভুতির বিষয় হলো গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বোঝার উপায় সম্পর্কে
জানার কৌতুহল। 

আবার অনেক ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীরা তার গর্ভের সন্তান
ছেলে হবে মেয়ে হবে এই বিষয় জানার জন্য তারা তাদের গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করার জন্য ছেলে সন্তান
হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। যদিও আমাদের দেশের
প্রচলিত আইন দ্বারা গর্ভকালীন সময়ে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা একটি
দন্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা বা প্রচলিত আঞ্চলিক ধারণা অনুযায়ী
কিছু বিশেষ লক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানা
সম্ভব হয়। 

আরো পড়ুনঃ ব্যায়াম করার পর খাবার তালিকা

আর গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় সম্পর্কে আমরা আমাদের পরবর্তী
আলোচনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব। এখন আমরা এই সকল ঘরোয়া টোটকা বা প্রচলিত
ধারণা অনুযায়ী ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ আলোচনা করবো। 

  • চলিত আছে যে যদি গর্ভের সন্তান ছেলে হয় তাহলে নাকি গর্ভবতী
    মায়েরা শোবার সময় বাম দিকে ঘুরে শুতে বেশি পছন্দ করে।
  • গর্ভের সন্তান যদি ছেলে হয় তাহলে গর্ভবতী মায়ের চেহারায় উজ্জ্বলতা প্রকাশ পায় এবং চেহারা তুলনায় অনেক সুন্দর দেখা যায় ।
  • যদি গর্ভে ছেলে সন্তান এসে থাকে তাহলে গর্ভবতী মায়েরা টক জাতীয় খাবার এবং ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
  • আবার গর্ভবতী মায়ের বেবি বাম্প যদি সামান্য নিচের দিকে ঝুলানো অবস্থায় থাকে
    তাহলে ধরা হয় যে, গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে।
  • এছাড়াও যদি গর্ভবতী নারীর গর্ভের সন্তান ছেলে হয়ে থাকে তাহলে গর্ভবতী
    মায়েদের মর্নিং সিকনেস  এবং মুড সুইং এর সমস্যাগুলো তেমন দেখা যায় না।

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো কি।এবার জেনে নেয়া যাক মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে ।

মেয়ে হওয়ার লক্ষণ

আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের নারীদের থেকে কিছু ঘরোয়া লক্ষণ পর্যবেক্ষণের
দ্বারা গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সেটা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আর এই
সমস্ত লক্ষণ গুলোর মধ্যে আমরা ইতিমধ্যেই গর্ভের সন্তান ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ
সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন যদি আপনি জানতে চান আপনার গর্ভের সন্তান মেয়ে
সন্তান কিনা তাহলে নিম্নে উল্লেখিত মেয়ে হওয়ার লক্ষণ সমূহ ভালোভাবে পড়ে
নিন।

  • যদি আপনার গর্ভের সন্তান মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে গর্ভকালীন সময়ে আপনার মধ্যে
    মর্নিং সিকনেস এর সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যাবে। অর্থাৎ, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি
    ভাব বেশি দেখা দিবে।
  • গর্ভের সন্তান মেয়ে হলে গর্ভবতী মায়েদের মুড সুইং এর সমস্যা বেশি দেখা
    দেয়। আর মুড সুইং বলতে হঠাৎ করেই গর্ভবতী মায়ের কান্না
    পাওয়া, আনন্দ অনুভূত হওয়া কিংবা রেগে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো প্রকাশ
    পাওয়াকে বোঝায়।
  • অনেকে ধারণা করে থাকে যে, যদি গর্ভের সন্তান মেয়ে হয় তাহলে গর্ভবতী মায়েরা
    সাধারণত তাদের শোবার সময় ডান কাত হয়ে শুয়ে থাকতে পছন্দ করে।
  • গর্ভে মেয়ে সন্তান ধারণ করে থাকলে গর্ভবতী নারীর ত্বকের মধ্যে
    তেলতেলে ভাব বেশি দেখা যায়, চুলের মধ্যেও তেলতেলে ভাব দেখা যায় , এমনকি ব্রণের সমস্যা দেখা যায় ।
  • এই অবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রতি বেশি
    আগ্রহ প্রকাশ করে।
  • গর্ভবতী মায়ের গর্ভে যদি মেয়ে সন্তান থেকে থাকে তবে গর্ভস্থ সন্তানের
    হার্টবিট এর হার ১৪০ এর বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু যদি গর্ভের সন্তান ছেলে
    হয়ে থাকে তাহলে সন্তানের হার্টবিট এর হার ১৪০ এর কম হয়ে থাকে।
  • গর্ভবতী মায়ের বেবি
    বাম্প অনেক উঁচু হলে এবং পেটের মাঝ বরাবর জায়গায় থাকলে  ধরে
    নেওয়া যাই যে গর্ভে মেয়ে সন্তান রয়েছে। 

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে জানার উপায় – tahablog

একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর কয়েক মাস অতিবাহিত হলেই উক্ত গর্ভবতী নারী
এবং তার পরিবারের সদস্যরা গর্ভের সন্তান ছেলে না
মেয়ে তা জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে। আর এর জন্য
আমাদের নানি-দাদিদের কথামতো কিছু লক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা উক্ত
বিষয়ে অনেকাংশে ধারণা পেয়ে থাকি। আর এই সমস্ত লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমরা
ইতিমধ্যে উপরোক্ত আলোচনার অংশে ব্যাখ্যা করেছি। 

তবে এই সমস্ত প্রচলিত ও আঞ্চলিক লক্ষণ সমূহের মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেই বিষয়ে আমরা যে ফলাফলে পেয়ে থাকি সেই ফলাফলটি কতটা উপযোগী এই
বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কোন কিছুই বলা যায় না। কেননা এইভাবে গর্বের সন্তান ছেলে
না মেয়ে তা বোঝার উপায় সম্পূর্ণভাবে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। তাই এখন আমরা
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার উপায় হিসেবে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কথা
জানাবো যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো
“আলট্রাসনোগ্রাফি”। 

আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা অত্যন্ত নিরাপদ
একটি পদ্ধতি। সাধারণত একজন নারীর গর্ভবতী হওয়ার ১১ মাস পর গর্ভে থাকা শিশুর
যৌনাঙ্গ গঠিত হয়ে থাকে। তাই এই ১১ মাস সময়ের পূর্বে কোনোভাবেই এ কথা বলা
সম্ভব নয় যে, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। সে জন্যই মূলত গর্ভবতী মায়ের
গর্ভধারণের ২০ থেকে ২২ সপ্তাহ পরেই আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে
নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং
কানাডিয়ান গবেষক রবি রত্নাকরণ এর মতে গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ এর
মাধ্যমেও গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে তা বোঝা সম্ভব। 

আরো পড়ুনঃ  রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

এক্ষেত্রে যদি গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ প্রসবের আগে কম থাকে তাহলে ধরে নেওয়া
যায় যে, সেই গর্ভবতী নারী কন্যা সন্তান জন্ম দিবে। কিন্তু যদি প্রসবের আগে
গর্ভবতী নারীর রক্তচাপ বেশি থাকে তবে এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় যে, সেই গর্ভবতী
নারী পুত্রসন্তান জন্ম দিবে। 

দীর্ঘসময় ধরে চলা এই পরীক্ষার ফলাফল স্বরূপ গবেষকগণ এই রকম সিদ্ধান্তে
উপনীত হয়েছে যে, যদি গর্ভবতী নারীর প্রসবের আগে রক্তচাপ কম থাকে তবে সেই
নারী কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। প্রসবের আগে রক্তচাপ বেশি থাকলে
তবে সেই নারী পুত্র সন্তান জন্ম দেয়।

ছেলে বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে

প্রাচীনকালে যেহেতু আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
গুলো ছিল না তাই তখনকার সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া
হত।আর এর মধ্যে অনেকেই পেটের মধ্যে বাচ্চা পেটের কোন সাইটে আছে সেই
বিষয়টির ওপর নির্ভর করেও সন্তান কি হবে সেই সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা
করত। 

এছাড়াও প্রাচীনকালে ধারণা করা হতো গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে যদি
চুলের বৃদ্ধির হার বেড়ে যায় এবং চুলের ঘনত্বও বেড়ে যায় তাহলে গর্ভে ছেলে
সন্তান রয়েছে। আর এর পাশাপাশি এটাও ধারণা করা হতো যে, গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে যদি গর্ভকালীন সময়ে
গর্ভবতী মায়ের পায়ের পাতা অধিকাংশ সময় ঠান্ডা থাকে ।

নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়

নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় যারা এই
ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন  উদ্দেশ্যে আমরা বলবো নাভি দেখে সন্তান বুঝার  উপায় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্পূর্ণ
কাকতালীয় একটি বিষয়। কেননা কোন কোন ক্ষেত্রে এই ধরনের পর্যবেক্ষণের ফলাফল সঠিক
হয় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল হয়। তারপরেও প্রচলিত আঞ্চলিক ধারণা অনুযায়ী
নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে আপনারদের কে প্রাথমিকভাবে ধারনা
দিতে চলেছি। 

সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ের মধ্যে ৭ মাস পর নাভির আকারের
মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এই ধরনের পরিবর্তন
গর্ভকালীন সময়ের ৯ম মাসে পরিলক্ষিত করা যায়, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এই রকম কোন
ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। আর এই ধরনের নাভির আকারের মধ্যে
পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে কিনা সেই বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের
লাইফস্টাইল এবং শরীরের গঠনের ওপর। 

আরো পড়ুনঃ হঠাৎ পেট ব্যথার কারণ – পেটে ব্যাথা হলে করণীয়

ধারণা করা হয় যে, যদি গর্ভকালীন সময়ে ৭ মাস পর কিংবা ৯ম মাসে গর্ভবতী মায়ের
নাভি বাইরের দিকে ফুলে বের হয়ে আসে তাহলে গর্ভে ছেলে
সন্তান রয়েছে। আর যদি গর্ভবতী মায়ের নাভির আকারে কোন রকম
পরিবর্তন না হয় কিংবা নাভি কিছুটা ভেতরের দিকে ঢুকে যায় তাহলে গর্ভে মেয়ে
সন্তান রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ধরনের লক্ষণ গুলোর ওপর ভিত্তি করে কোন
ক্ষেত্রেই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় যে, গর্ভে ছেলের সন্তান রয়েছে নাকি মেয়ে
সন্তান রয়েছে। আশা করছি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন নাভি দেখে
সন্তান বুঝার উপায় কি।

ছেলে হবে না মেয়ে হবে সহজ এই পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন

আপনি যদি আপনার গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ জানতে চান তাহলে আপনার সন্তান ছেলে
হবে না মেয়ে বলে দেবে সহজ এই পরীক্ষাটি। যেটার নাম হলো
“আলট্রাসনোগ্রাফি”। আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে সাধারণত গর্ভের সন্তানের
হার্টবিট রেট পরিমাপ করার মাধ্যমে সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে জানা
যায়। আর এই পরীক্ষায় যদি গর্ভের সন্তানের হার্টবিট রেট প্রতি মিনিটে
১৪০ এর বেশি হয় তাহলে গর্ভের সন্তান মেয়ে হয় এবং যদি হার্টবিটের  রেট যদি  মিনিটে ১৪০ এর কম হয় তাহলে গর্ভের সন্তান ছেলে
হয়। 

কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে জানা সম্পূর্ণ ভাবে
আইনের পরিপন্থী একটি কাজ। আর এর জন্য আপনাকে আইনের আওতায় এনে জরিমানা করা হতে
পারে কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়া হতে পারে। তাই আমরা আপনাদেরকে
পরামর্শ দিব যে, কখনোই এই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ জানার
চেষ্টা করবেন না। কিন্তু যদি গর্ভবতী মায়ের শারীরিক সুস্থতা এবং গর্ভের
সন্তানের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের পরীক্ষা করার প্রয়োজন
হয় তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় এই ধরনের পরীক্ষা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা
হবে না। 

গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে জানার উপায় – tahablog ঃ শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে গর্ভের সন্তান ছেলে না
মেয়ে তা বোঝার উপায়, মেয়ে হওয়ার লক্ষণ, ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ, ছেলে বাচ্চা পেটের কোন
দিকে থাকে, নাভি দেখে সন্তান বুঝার
উপায় ইত্যাদি বিষয়াবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা
করেছি। 

আশা করছি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নগুলোর সঠিক
ব্যাখ্যাসহ উত্তর জানতে পেরেছেন এবং পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত
হয়েছেন। আপনি যদি পরবর্তীতেও এই রকম নতুন নতুন তথ্য সম্বলিত পোস্ট পড়তে
চান এবং নতুন কিছু জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট
করবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।