ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় – পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
আপনি কি জানেন ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়? এবং পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের
লক্ষণ সমূহ কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্যই। কেননা এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় এবং
পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। সুতরাং, আর দেরি না করে ঝটপট সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় এবং পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ কি তা
জেনে নিন।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে নেন তাহলে
আপনি ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কিত আরো যেসব বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন
সেগুলো হলো- ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্রেস্ট
ক্যান্সার কি ভাল হয় কিনা, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়, ব্রেস্ট
ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ কত সেই
সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় – পুরুষের ব্রেস্ট
ক্যান্সারের লক্ষণ
- ভূমিকা
- ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়
- ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি
- ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
- পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
- ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয়
- ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
- ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ
- ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ
- ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় – পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণঃ শেষ কথা
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় – পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণঃ ভূমিকা
বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সংখ্যা দিন দিন
বেড়েই চলেছে এবং এটা এক ধরনের ঘাতক ব্যাধি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। সাধারণত
ব্রেস্ট ক্যান্সারের নারী এবং পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হতে পারে। তবে ব্রেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই সব থেকে
বেশি। বিশেষ করে যাদের বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে সেইসব নারীরা ব্রেস্ট
ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
যেহেতু ব্রেস্ট ক্যান্সার নারীদের একটি গোপন অঙ্গের রোগ তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নারীরা সচারচর তাদের পরিচিতজনদের থেকে
পরামর্শ গ্রহণ করতে সংকোচ বোধ করে। আর সেজন্যই এই ধরনের নারীরা ব্রেস্ট
ক্যান্সার কেন হয় সেই প্রসঙ্গে জানতে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এসে
সার্চ করে থাকে। তাই আমরা ঠিক করেছি যে, আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
এই সমস্ত নারীদেরকে ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে
সাহায্য করব।
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ হঠাৎ পেট ব্যথার কারণ – পেটে ব্যাথা হলে করণীয়
আর এর পাশাপাশি যারা ধারণা করে থাকেন যে, শুধুমাত্র নারীরাই ব্রেস্ট ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয় তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো আপনাদের এই ধরনের ধারণা সম্পূর্ণরূপে
ভুল। কেননা নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। যদিও
তাদের আক্রান্তের হার নারীদের তুলনায় কিছুটা কম।আমরা আমাদের
আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় সেই
বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবো তেমনি এর পাশাপাশি পুরুষের
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানতেও সাহায্য করবো।
তাই ধৈর্য না হারিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পুরো
আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।তাহলেই আশা করছি আপনি ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কিত
যাবতীয় তথ্য সমূহ জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরুতেই জেনে নেওয়া
যাক ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়!
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়
সাধারণত যখন নারীদের দেহে কিংবা পুরুষদের দেহে স্তনের মধ্যে থাকা কোষ গুলো
অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায় এবং সেই বৃদ্ধি প্রাপ্ত কোষ গুলো বিভাজনের
মাধ্যমে এক ধরনের পিন্ডে পরিণত হওয়ার পর সেগুলো রক্তনালীর লসিকা গ্রন্থি এবং
শরীরের অভ্যন্তরে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে তখন সেটাকে ব্রেস্ট
ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের নারীরা যে সমস্ত ক্যান্সারজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তার
মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া নারীদের সংখ্যাই বেশি। আর এই সমস্ত
বাংলাদেশী নারীদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে
চিকিৎসকগণ কয়েকটি বিশেষ কারণকে দায়ী করেছে। আর এই কারণ সমূহ হলোঃ
জীবনধারার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে কেন আক্রান্ত হয় বা মানুষের ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয়
এই প্রসঙ্গের উপযুক্ত ব্যাখ্যা হিসেবে প্রথমেই বলা যেতে পারে যে, মানুষের
জীবনধারার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণেই মূলত একজন মানুষ
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এখন চলুন জীবনধারার পরিবর্তন এবং
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বলতে মূলত কি বোঝানো হচ্ছে সেই বিষয়টা কিছুটা
ব্যাখ্যা করা যাক।
জীবনধারার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বলতে মূলত আমাদের দৈনন্দিন
জীবনে প্রচুর পরিমাণে জাঙ্ক ফুড কিংবা ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা এবং অপেক্ষাকৃত
কম সময় শারীরিক পরিশ্রম করাকে বোঝানো হচ্ছে। আর এই সমস্ত কার্যাবলীর
ফলস্বরূপ আমাদের শরীরের মধ্যে দ্রুত মেদ জমতে শুরু করছে। অর্থাৎ, আমরা দ্রুত
স্থূলতা জনিত সমস্যায় ভুগছি। আর এই ধরনের স্থূলতা জনিত সমস্যা থেকেই
ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ঘাতক ব্যাধি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে সক্ষম হচ্ছে।
এছাড়াও কতগুলো উল্লেখযোগ্য কারণে একজন মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। যেমন-
- নারীদের ক্ষেত্রে দেরিতে সন্তান নেওয়া।
-
সন্তান জন্মদানের পর সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো কিংবা যারা কর্মজীবী নারী
রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সময়ের অভাবে সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে না পারার
কারণে এই ধরনের নারীরা প্রতিনিয়ত ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত
হচ্ছে। -
আবার যেসব নারীদের সন্তান নেই তারা যেহেতু তাদের সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে
পারেনা তাই তাদের ক্ষেত্রেও স্থান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে
যায়। -
বয়স বেড়ে যাওয়ার ফলেও নারীরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। কেননা
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণত ৪০ বছরের পর থেকেই বেশি
বেড়ে যায়। -
অনেক ক্ষেত্রে যাদের বংশে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগী রয়েছে
তাদের ক্ষেত্রেও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। অর্থাৎ, এই ধরনের মানুষ গুলোও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। -
অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার এবং প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবার প্রতিনিয়ত
অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস থাকার দরুন একজন মানুষ ব্রেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। -
শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয়। -
যেসব নারীদের ১২ বছরের আগে পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হয় এবং ঋতুস্রাব বন্ধ
হওয়ার সময়টা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ হয় তারাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। -
নারীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার
ফলেও নারীরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। -
এর পাশাপাশি যারা হরমোনের ইনজেকশন নেয় তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীরা
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
আশা করছি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন
হয়। এবার তাহলে চলুন আমাদের পরবর্তী আলোচনায় ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি
সমূহ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা যাক যাতে করে আপনারা বুঝতে পারেন ব্রেস্ট
ক্যান্সার দেখতে কেমন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি
আপনাদেরকে বোঝানোর সুবিধার্থে আমরা নিম্নে কতগুলো ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবি উল্লেখ
করেছি। আশা রাখছি আপনি যদি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ছবিগুলো ভালোভাবে দেখে নেন
তাহলে বেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে আপনি প্রাথমিকভাবে কিছুটা ধারণা পেতে সক্ষম হবেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া নারীদের মধ্যে
প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত
হচ্ছে। আর আক্রান্ত হওয়া এই ধরনের নারীদের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৮ হাজারের
মতো নারী মৃত্যুবরণ করছে। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে প্রাথমিক অবস্থায় ব্রেস্ট
ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হলে এবং শনাক্ত করার পর উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া হলে
ব্রেস্ট ক্যান্সার শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ – মাথা ঘোরার ঔষধের নাম কি
কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রথমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিয়ে
সঠিকভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত করতে হবে। তাহলেি আপনি ব্রেস্ট
ক্যান্সারের মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। তাহলে চলুন ব্রেস্ট
ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ জেনে নেই।
- ব্রেস্টের উপর পিণ্ড বা চাকা দেখা দেওয়া।
- ব্রেস্টের নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া বা দেবে যাওয়া।
-
ব্রেস্টের নিপলের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। যেমন- কিছুটা আঁকাবাঁকা বা অসমান
হয়ে যাওয়া। - ব্রেস্টের পাশে বগলের দিকে পিণ্ড দেখা দেওয়া।
- নিপল থেকে এক ধরনের আঠালো পুঁজ বের হওয়া বা রক্ত বের হওয়া।
- ব্রেস্টে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
-
ব্রেস্টের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হওয়া এবং সেই সঙ্গে ব্রেস্টের চামড়া
অপেক্ষাকৃত মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ
আমাদের উপরিউক্ত আলোচনার মধ্যে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি যে, ব্রেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু তা
সত্ত্বেও এটা বলা ভুল হবে যে, পুরুষরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়
না। অর্থাৎ, নারীদের বেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু
বিরল ক্ষেত্রে পুরুষদেরও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা
গিয়েছে।
আর যেহেতু আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিকদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে,
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত কেবল নারীরাই হয় তাই এই সমস্ত নাগরিকগণ
পুরুষদের বেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে তেমন একটা সচেতনতা অবলম্বন করে না। যার
ফলশ্রুতিতে পুরুষরাও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বহন
করছে। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর মূল মন্ত্র হলো
ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে
নিম্নে পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ তুলে ধরেছি।
-
পুরুষের বেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে প্রথম লক্ষণ হলো যেকোনো একটি স্তনে
প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং সেই সঙ্গে স্তনে পিণ্ড দেখা দেওয়া। -
একজন পুরুষ ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তার স্তনবৃন্ত কিছুটা ভিতরের
দিকে ঢুকে যায় বা দেবে যায়। -
ব্রেস্টের ত্বকের মধ্যে জ্বালাপোড়া ভাব অনুভূত করা কিংবা ব্রেস্টের মধ্যে
ডিম্প্লিং ভাব দেখা দেওয়া। - ব্রেস্টের নিপল থেকে এক ধরনের আঠালো রস বের হওয়া।
- নিপলের অংশটা কিছুটা টেনে যাওয়া এবং সেইসঙ্গে নিপলে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
-
এছাড়াও ব্রেস্টের লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়াও পুরুষের বেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয়
যেসব রোগীরা বেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কিত বিষয়াবলী সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে এই
বিষয়টা জানতে চান যে, ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয়? তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো
ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ
করার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সার শতভাগ (১০০ ভাগ) নিরাময় করা সম্ভব হয়। তবে
ব্রেস্ট ক্যান্সারের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্টেজে এই রোগ নিরাময় করা
কিছুটা জটিল এবং এই সমস্ত স্টেজে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে আনুমানিক ৫০ শতাংশ।
কিন্তু তা সত্বেও বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কল্যাণে ব্রেস্ট ক্যান্সার ভালো
হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি ব্রেস্ট ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন। কেননা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার
ব্রেস্ট ক্যান্সার নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
সুপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশে উল্লেখিত
লেখা গুলো খুব ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনারা ধারণা পেয়ে
গেছেন যে, ব্রেস্ট ক্যান্সার আমাদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। আর তাই ব্রেস্ট
ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে হলে আমাদেরকে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে হবে। আপনি যদি ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে না থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা আমরা এখন
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
-
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপায় হলো শরীরের অতিরিক্ত ওজন
কমিয়ে আনা। কেননা স্থূলতা জনিত সমস্যার কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি
বৃদ্ধি পায়। তাই যদি আমাদের শরীরের মধ্যে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ আমরা
কমাতে সক্ষম হই তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে। -
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমানের আঁশসযুক্ত খাবার এবং ফাইবার যুক্ত
খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস
পায়। এই ধরনের খাবারের উদাহরণ হলো- পেয়ারা, কদবেল, আমড়া, আতাফল,
ব্ল্যাকবেরি, কাঁঠাল, আমলকী, আপেল, নারকেল, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কচু শাক,
কলমিশাক, পুঁইশাক, মুলাশাক, লাউ এবং মিষ্টি কুমড়া শাক, ওলকপি, সিম, পটল,
ডাঁটা, কলার মোচা ইত্যাদি। -
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এলাইডিক
এসিড, ফাইটোকেমিক্যাল ক্যারোটিনয়েডস
এবং গ্লুকোসিনোলেট যুক্ত ফলমূল এবং শাক সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ব্রেস্ট
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। আর এই ধরনের ফলমূল এবং
শাকসবজির উদাহরণ হলো- ডালিম, কাঁচা হলুদ, গাজর, পালং
শাক, ব্রকলি, মিষ্টি
কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। -
এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক আরো কিছু খাদ্য উপাদানের নাম
হলো- ডিমের কুসুম, টক দই, সার্ডিন মাছ, লাল
চাল, বার্লি, হেরিং মাছ, টফু, তিসির বীজ, জলপাইয়ের
তেল, ওটস, অ্যাভোকেডো, সার্ডিন মাছ, বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিন “ডি” সমৃদ্ধ খাবার। -
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য বাইরের অস্বাস্থ্যকর, অতিরিক্ত
তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ত্যাগ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ
করে প্রতিদিন খাবার গ্রহণ করতে হবে। -
প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করা এবং নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমেও ব্রেস্ট
ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। -
যেসব নারীদের সন্তান রয়েছে তারা সন্তানকে নিয়মিত স্তন পান করানোর মাধ্যমে এই
ধরনের ঝুঁকি রোধ করতে পারে। -
এছাড়াও বিভিন্ন ধূমপান জনিত কারণেও যেহেতু ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি
পায়। তাই ধূমপান করা পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো
যায়।
ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ
আমাদের দেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বা যাদের
আত্মীয়-স্বজনরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তারা সাধারণত ব্রেস্ট ক্যান্সার
চিকিৎসা বাংলাদেশ টাইটেলটি গগলে লিখে ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চাই। আপনিও যদি ব্রেস্ট ক্যান্সারে চিকিৎসা জানার জন্য
এইভাবে গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে আপনি নিম্নে উল্লেখিত ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিতে পারেন। ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন
ক্যান্সারের চিকিৎসা মূলত কয়েকভাবে করা হয়ে থাকে।আর এগুলো হলোঃ
সার্জারি
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আপনি যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন তখন আপনার
ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা সার্জারির মাধ্যমে করা হবে কিনা সেই বিষয়ে প্রাথমিক
সিদ্ধান্ত সাধারণত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং সার্জনের সম্মিলিত
সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রহণ করা হয়ে থাকে। আর আপনার ব্রেস্ট
ক্যান্সারের যেকোনো স্টেজেই সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নাকের পলিপাস অপারেশন খরচ – বিনা অপারেশনে নাকের পলিপাস চিকিৎসা
এখন আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার মূলত কোন স্টেজে রয়েছে এবং তার জন্য আদৌও সার্জারি
করা প্রয়োজন হবে কিনা সেই বিষয়ে কেবল একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং
একজন সার্জন মিলেই যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তবে সার্জারির
ক্ষেত্রে অনেক সময় কেবলমাত্র ব্রেস্টের টিউমার কেটে ফেলে এর চিকিৎসা করা হয়
আবার অনেক সময় সম্পূর্ণ ব্রেস্ট কেটে ফেলে এর চিকিৎসা করা হয়।
কেমোথেরাপি
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ
রোগীদেরকেই সার্জারির আগে কিংবা সার্জারির পরে কেমোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে
চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রেস্ট ক্যান্সার যদি পুরো শরীরের মধ্যে
ছড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রেও রোগীকে কেমোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা
সম্ভব হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কেমোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে ব্রেস্ট
ক্যান্সারের সব স্টেজের রোগীদেরকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলেও এর কিছু
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
তাই একজন ব্রেস্ট ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং কেমোথেরাপি
দেওয়ার কার্যকারিতা সম্পর্কে যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করার পরেই একজন ক্যান্সার
বিশেষজ্ঞ রোগীদেরকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও
কেমোথেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে বেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে যাতে
কেমোথেরাপির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কিছুটা কমানো যায় সেই সংক্রান্ত
ব্যবস্থাও একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ নিয়ে থাকেন।
রেডিওথেরাপি
ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কিংবা
মেশিনের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীকে রেডিওথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা
হয়। স্বাভাবিকভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে
কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করার পর রেডিওথেরাপির মাধ্যমে
চিকিৎসা প্রদান করা হয়।আর কেমোথেরাপির তুলনায় রেডিওথেরাপির মাধ্যমে
চিকিৎসা নেওয়ার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কম।
এক্ষেত্রে মজার বিষয় হলো রেডিওথেরাপির মাধ্যমে কেবলমাত্র ব্রেস্টের চিকিৎসা করা
হয় বিষয়টা মোটেও এমন নয় কেননা এর পাশাপাশি রেডিওথেরাপির মাধ্যমে পুরো
শরীরে ছড়িয়ে পড়া ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসাও করা হয়ে থাকে। আবার
সেইসঙ্গে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে হাড় ভাঙ্গার কিংবা হাড়ের ফ্র্যাকচার রোধ করার
চিকিৎসাও প্রদান করা হয়।
হরমোন থেরাপি
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সব ধরনের রোগীদেরকে হরমোন থেরাপি
দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।এর জন্য ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণ সাধারণত রোগীর
বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে, কি
ধরনের ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদেরকে হরমোন থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা
রয়েছে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সরকারি এবং
বেসরকারি হাসপাতাল গুলো মিলে হাসপাতালের সংখ্যা রয়েছে খুবই নগণ্য। যার
মধ্যে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা রয়েছে ১৫০ জনেরও কম। আবার
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কথা বলতে নিলে বাংলাদেশে উপলব্ধ চিকিৎসা সমূহ অত্যন্ত
অপ্রতুল এবং ব্যয়বহুল। যার ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের
পরিবারকে উক্ত ব্রেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায়
নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়।
এবার যদি বাংলাদেশে ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ কত সেই প্রসঙ্গে
বলতে যায় তাহলে শুরুতেই বলতে হয় যে, বাংলাদেশের ক্যান্সার বিশেষায়িত
সরকারি হাসপাতাল গুলোতে প্রাথমিক অবস্থায় ব্রেস্ট
ক্যান্সার নির্ণয় করা থেকে শুরু করে এর নিরাময় পর্যন্ত ক্যান্সারের ধরন
ভেদে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে
থাকে। কিন্তু যদি আপনি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেস্ট ক্যান্সারে
চিকিৎসা করানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে তার জন্য এই খরচ অনেকাংশেই বেড়ে
যাবে।
আবার যেহেতু ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা তাদের ক্যান্সারের
স্টেজের উপর এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তাই রোগীর শারীরিক
অবস্থার ভিন্নতায় এই ধরনের খরচ কম-বেশি থাকে।তবে প্রাথমিক অবস্থায়
ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর যদি আপনি কোন সরকারি হাসপাতালে ব্রেস্ট
ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার
চিকিৎসা খরচ তুলনামূলক কম হবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার কেন হয় – পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণঃ শেষ
কথা
সম্মানিত পাঠক আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে ব্রেস্ট
ক্যান্সার কেন হয়, পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ কি, ব্রেস্ট
ক্যান্সারের ছবি, ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভাল হয় কিনা,
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়, ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশ,
ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা খরচ কত ইত্যাদি বিষয়াবলী সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে
জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি
পরবর্তীতেও এই রকম নতুন নতুন তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে নিয়মিত
আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ
থাকবেন। ধন্যবাদ।