মনিটর কে আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য

আপনি কি জানেন মনিটর কে আবিষ্কার করেন? আমাদের সকলের মনিটর সম্পর্কে ভালোভাবে
ধারণা থাকলেও এই মনিটর কে আবিষ্কার করেন সেটা অনেকের অজানা। কোনো কিছু তৈরি
হওয়ার সাথে সাথে সেই জিনিসটি কে আবিষ্কার করেছে সেটা জানার জন্য আমাদের মধ্যে
অন্যরকম একটি কিউরিসিটি বিরাজ করে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না মনিটর কে
আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য কি। আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়লে আপনি জানতে পারবেন মনিটর কে আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য কি।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মনিটর কে আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য
সম্পর্কে বিস্তারিত।

মনিটর কে আবিষ্কার করেন - মনিটর এর বৈশিষ্ট্য

মনিটর সম্পর্কে আপনাদের ধারণা থাকলেও সকলের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকে যায়,
মনিটর কে আবিষ্কার করেন? তাই আজকে আমরা আলোচনা করব মনিটরের আবিষ্কারক কে এবং
মনিটর এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক, মনিটর কে
আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মনিটর কে আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য

মনিটর কে আবিষ্কার করেন

আজ আমরা জানবো মনিটর কে আবিষ্কার করেন। বর্তমানে মনিটরের সাথে কমবেশি আপনাদের
সকলেই পরিচিত রয়েছে। কোনো কিছু তৈরি করতে তার আবিষ্কারক এর প্রয়োজন হয় এমনি
এমনি কোন কিছু তৈরি হয় না। তাই কম্পিউটারের মনিটর কেউ একজন তৈরি করেছেন।
বর্তমানে কম্পিউটারে ব্যবহৃত এলসিডি মনিটরের প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছিল ১৮৮৮
সালে।
১৮৮৮ সালে বিজ্ঞানী Friedrich Reinitzer প্রথম মনিটর আবিষ্কার করেন। বলা
যায় তার হাত ধরেই মনিটরের আগমন। প্রিয় পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন
মনিটর কে আবিষ্কার করেন।

মনিটর এর বৈশিষ্ট্য

বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় এবং প্রযুক্তির সকল পণ্যের দাম কমে আসার কারণে
এবং মনিটরের প্রকারভেদ এর কারণে মানুষ অল্প টাকায় উচ্চমানের মনিটর কিনতে পারছেন।
তেমনই কিছু মনিটর এর বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো। চলুন জানা যাক মনিটর এর
বৈশিষ্ট্য কি।

রেজুলেশন

একটা মনিটর এর রেজুলেশন যত বেশি মনিটর তত ভালো হবে অর্থাৎ মনিটরের অক্ষর বা ছবি
পরিস্কার ও স্পষ্ট দেখা যায়। মনিটরের পর্দাকে কোনাকুনি এবং লম্বালম্বি অনেকগুলো
রেখায় ভাগ করা হয় আর এই ভাগ গুলো কে রেজুলেশন বলে। যেমন 1024*764, 640*480
ইত্যাদি রকমের হয়ে থাকে।

লোন-ইন্টারলেসড

এটা মনিটরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। টেলিভিশনের ছবি চোখের দেখায় এবং
গতিময় রাখার জন্য প্রতিটি ছবিতে ফিল্ম হিসেবে পাঠানো হয়। একটা মেয়ে ২৫টি লাইন
থাকে। গতিময় রাখার জন্য এক ফ্রেম কে অন্য ফ্রেমের উপর ১,৩,৫,৭ ও ২,৪,৬,৮
পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিকে ইন্টারলেসিং বলে। কম্পিউটারের কার্যগতি
টেলিভিশনের ফ্রিকোয়েন্সি থেকে অনেক বেশি হয়।

মাল্টি ফ্রিকোয়েন্সি

মাল্টি ফ্রিকুয়েন্সির বৈশিষ্ট্য হলো মনিটর অক্ষর প্রদর্শনের সময় এক
সফটওয়্যার থেকে অন্য সফটওয়্যার এ পরিবর্তনের কারণে চিত্র ও লেখা একইসঙ্গে
দেখানোর সময় কম্পমান হবে না এবং চোখের কোন ক্ষতি বা চোখের উপর কোন চাপ পড়বে
না।

পিক্সেল বা পিচ

কোনাকুনি বা আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি রেখার cross-section এর diameter কে
পিক্সেল বলে। পিক্সেল যত কম হবে মনিটর তত ভালো হবে। অন্যদিকে পিক্সেল
রেজুলেশনের বিপরীত অর্থে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে 0.28 মিলিমিটারের পিক্সেল এর
মনিটর ব্যবহৃত করা হচ্ছে। আশা করি আজকের পর্ব শেষে আপনিও খুব সহজেই বুঝতে
পেরেছেন মনিটরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

মনিটর দেখতে কেমন

আমরা সবাই জানি মনিটর দেখতে কেমন। আবার অনেকের হয়তো মনে হতে পারে মনিটর দেখতে
কেমন বা মনিটর দেখতে গিয়ে টিভির মতো? হ্যাঁ,মনিটর দেখতে অনেকটা টিভির মতো।
মনিটর হলে একটি আউটপুট ডিভাইস এটি দেখতে অনেকটা টেলিভিশনের মতো। কম্পিউটারের
সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট এর সমস্ত কাজের প্রক্রিয়া গুলি
ব্যবহারকারীদের সামনে দেখানোর জন্য মনিটরের ব্যবহার করা হয়। মনিটরের সাথে টিভি
কার্ড ব্যবহার করে অনেকেই টিভি হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন এই মনিটরকে।

কিন্তু মনিটরে সরাসরি কোন টিভি চ্যানেল থাকে না। শুধুমাত্র কম্পিউটারের ইনপুট
ডেটা প্রসেসিং করে আউটপুট ব্যবহারকারীদের সামনে দেখানো হয়। আশাকরি এতক্ষণে
বুঝতে পেরেছেন মনিটর দেখতে কেমন।

মনিটর সম্পর্কে তথ্য

অনেকেরই মনিটর সম্পর্কে তথ্য গুলো অজানা রয়েছে। আবার অনেকেই মোটামুটি মনিটর
সম্পর্কে তথ্য জানা রয়েছে বা মনিটর সম্পর্কে তথ্য জানার ইচ্ছে রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মনিটর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। মনিটর হলো বহুল ব্যবহৃত
একটি আউটপুট ডিভাইস। মনিটরে কোন প্রক্রিয়াকরণ কাজ হয়না বরং প্রক্রিয়াকরণের
অবস্থা ফলাফল প্রদর্শিত করা হয়। কম্পিউটারে কি কাজ করছে, কি নির্দেশ দিয়েছে,
কোন ডাটা ইনপুট দিয়েছে, সঠিক বর্ণ টাইপ হচ্ছে কিনা, কোন কাজের কতটুকু অংশ
হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে মনিটর এর মাধ্যমে জানান দেওয়া হয়। মনিটরের দৃশ্যমান
ছবির গুনগতমান ভিডিও কন্ট্রোলের ওপর নির্ভর করে। প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে
মনিটর কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফ্ল্যাট মনিটর ও সিআরটি মনিটর।

আরো পডুন ঃ গুগলের মালিক কে – গুগলের প্রতিষ্ঠাতা কে

ফ্ল্যাট মনিটর এর মধ্যে এলইডি ও এলসিডি মনিটর সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য সব মনিটর থেকে এলইডি মনিটর সবথেকে বেশি ভালো এবং তুলনামূলক ভাবে
বিদ্যুৎ খরচ কম। আর সিআরটি মনিটরের মধ্যে সবথেকে বড় অসুবিধা হলো এই মনিটর
দেখতে অনেকটাই বড় এবং তুলনামূলক বিদ্যুৎ খরচ সবথেকে বেশি। আশাকরি এতক্ষণে
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিছু অজানা মনিটর সম্পর্কে তথ্য।

মনিটরের অপর নাম কি

আপনি কি জানেন মনিটরের অপর নাম কি? যদি মনিটরের অপর নাম কি জেনে না থাকেন তবে
এই পরবর্তী মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মনিটর হলো কম্পিউটার একটি ইলেকট্রিক ডিভাইস।
মনিটর ডিসপ্লে হলো কম্পিউটারের জন্য একটি ইলেকট্রিক দৃষ্টি সহায়ক প্রদর্শক।
একটি মনিটর সাধারণত ডিসপ্লে ডিভাইস, সার্কিট, আবরণ এবং পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে
গঠিত হয়। কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস হিসেবে মনিটরকে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত মনিটর বলতে টেলিভিশনের মতো বড় আকৃতির যন্ত্র কে বোঝায়। এতক্ষণে
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মনিটরের অপর নাম কি।

মনিটর এর বিবরণ

আপনি মনিটর এর বিবরণ জানেন? মনিটর সম্পর্কে হয়তো অনেকের অনেক কিছুই অজানা
রয়েছে। তাই আজকে আমরা চলুন জেনে নিই মনিটর এর বিবরণ সম্পর্কে। মনিটর সবচেয়ে
বেশি ব্যবহৃত আউটপুট সরঞ্জাম যেটা ছাড়া বর্তমান কম্পিউটার অসম্ভব। মোবাইল
ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ প্রযুক্তিতে মনিটর ব্যবহার হচ্ছে। প্রথম দিকে মনিটরে
ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহৃত হতো। মনটা যখন প্রথম তৈরি করা হয় তার কার ছিলো অনেক
বড় এতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হতো। টিউবের বিপরীত পাশে ফসফরাসের প্রলেপ লাগানো
থাকত। যখন টিউব থেকে প্রচন্ড গতিতে ইলেকট্রন টিউব থেকে বেরিয়ে এসে ফসফরাসের
আঘাত করে তখন তা আলো বিবরণ করত এবং এই আলো সামগ্রিকভাবে বোধগম্য চিত্র ফুটিয়ে
তুলে।

আরো পডুন ঃ মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় – মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়

টিউব থেকে ইলেকট্রন বেরিয়ে আসতো প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৭০ বার। সময়ের সাথে
পাল্লা দিয়ে মনিটরের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। যখনই তরলে বিদ্যুৎ সংযোগ
দেওয়া হয় তখন তার নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে আলোক বাধা প্রদান করার মাধ্যমে
দৃষ্টিগোচর বিন্দুতে রূপান্তরিত করে ও সামগ্রিক ভাবে চিত্র ফুটে ওঠে। ঘড়িতে এই
মনিটর ব্যবহার করা হতো আর এখন বর্তমানে মোবাইল ফোনে এই মনিটরে বহু ব্যবহার করা
হয়। এতক্ষণে নিশ্চয়ই মনিটর এর বিবরণ বুঝতে পেরেছেন।

মনিটর কে আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য এর শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা শেষে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন মনিটর কে আবিষ্কার করেন এবং মনিটর
এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। ১৮৮৮ মনিটরের প্রথম যাত্রা শুরু হয়। আস্তে আস্তে
প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে মনিটরের অনেক পরিবর্তন এসেছে। মনিটর কে
আবিষ্কার করেন – মনিটর এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তবে
অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। @
22882