এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় – ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজকে আমরা
আমাদের এই পোস্টে এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আর দেরি না করে এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
এবং ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ন পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়ে নিন।
আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনি আরও যেসব বিষয় সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতে পারবেন সেগুলো হলো- ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার
উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার নাইট
ক্রিম কোনগুলো, ফর্সা হওয়ার বডি লোশন কোনগুলো এবং স্থায়ী ফর্সা
হওয়ার উপায় কি সেই সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় – ভেতর থেকে ফর্সা
হওয়ার উপায়
- ভূমিকা
- ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়
- এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
- প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
- ফর্সা হওয়ার বডি লোশন
- স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
- এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় – ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ শেষ কথা
এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় – ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ
ভূমিকা
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই সৌন্দর্যের পূজারী হয়। পৃথিবীতে সুন্দর হতে চায় না এমন
মানুষ দেখা যায় না বললেই চলে। অর্থাৎ, প্রতিটি মানুষই চায় তার চেহারার
সৌন্দর্য কিংবা শারীরিক সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করতে। কিন্তু মানুষের সৌন্দর্যের পথে
একটি অন্যতম বাধা হলো মানুষের গায়ের রঙ। অর্থাৎ, যখন কোন মানুষের গায়ের রঙ কালো বর্ণের হয়ে যায় তখন সেই মানুষটির শারীরিক সৌন্দর্য বাহ্যিক
দিক থেকে অনেকাংশেই কমে যায়। তাইতো যাদের গায়ের রঙ কালো তারা সাধারণত এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় কিংবা ভেতর থেকে ফর্সা
হওয়ার উপায় সম্পর্কে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় – স্বাস্থ্য ভালো করার ঔষধ
কিন্তু ইন্টারনেটের সার্চ রেজাল্টে এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় কিংবা ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে যেসব তথ্য সামনে আসে সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ
তথ্যই সঠিক বা কার্যকরী নয়। সেজন্য আজকে আমরা আপনাদের সামনে এক দিনে
ফর্সা হওয়ার উপায় এবং ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে
কতগুলো কার্যকারী উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সেইসঙ্গে আমরা ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার
উপায়, ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম, ফর্সা হওয়ার বডি লোশন এবং স্থায়ী
ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কেও এই পোস্টের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই উক্ত
বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে আমাদের এই পোস্টের নিচের অংশটুকু
অত্যন্ত যত্ন সহকারে পড়ে নিন।
৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়
আমরা আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য খুব একটা সময় পায়
না বললেই চলে। যার ফলে দেখা যায় যে, আমাদের ত্বক দিন দিন তার স্বাভাবিক
সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে বা দিন দিন কালো হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের
ত্বককে কিভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উজ্জ্বল করা যায় কিংবা ফর্সা করা যায় এই
বিষয়টি যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমরা আমাদের দৈনিন্দন কার্যাবলীর পাশাপাশি
আমাদের চেহারার সৌন্দর্য ধরে রাখতে সক্ষম হব।
এক্ষেত্রে যেহুতু আমাদের ব্যস্ত জীবনে সময়ের স্বল্পতা রয়েছে তাই আমাদের
দরকার এমন কিছু কার্যকারী উপায় সম্পর্কে জানা যেগুলো প্রয়োগ করে কার্যকারী
ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের খুব অল্প সময় ব্যয় হবে। আর তাই এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখে
এখন আমরা আপনাদেরকে ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অবহিত করব।
৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে ৩ টি উপাদান। এই উপাদান
গুলো হলো- অ্যালোভেরা, লেবু এবং চিনি। এই ৩ টি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ৫
মিনিট ধরে সার্কুলার মোশনে স্ক্রাব করলে ত্বকের যে কোন কালো দাগ কিংবা ত্বকের
কালো ভাব সহজেই দূর হয়ে যাবে। কেননা অ্যালোভেরার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন “এ” যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও লেবুর মধ্যে রয়েছে “সাইট্রিক
এসিড” এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “সি”। আর এই উপাদানগুলো ত্বকের যে কোন কালো দাগ
দূর করতে এবং দ্রুত ত্বক ফর্সা করতে সক্ষম।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার উপায় – মোটা হওয়ার ফর্মুলা
৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আরেকটি কার্যকারী উপায় বর্ণনা করা প্রয়োজন।
সেটা হলো ত্বকে শসা এবং টমেটোর আইস কিউব ব্যবহার করা। অর্থাৎ, প্রথমে শসা এবং টমেটো
ভালোভাবে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নেওয়ার পর আইস বারে ঢেলে নিয়ে
ফ্রিজে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে আইস কিউব তৈরি নিতে হবে। এরপর এই আইস কিউব গুলো রাতে
ঘুমানোর আগে ৫ মিনিট সময় ধরে ত্বকের উপর ম্যাসাজ করতে হবে। এই কাজটি করার ফলে ত্বকের মলিনতা দূর হবে, ত্বক উজ্জ্বল, সতেজ
এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
শসা এবং টমেটোর আইস কিউব ৫ মিনিটে ত্বক ফর্সা করতে এজন্যই কার্যকারী কারণ শসার
মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট” এবং ভিটামিন “ই” যেগুলো ত্বকের
কালচে ভাব দূর করে ত্বককে ফর্সা করে তুলতে পারে। অন্যদিকে টমেটোর মধ্যে রয়েছে
ভিটামিন “সি” যা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে
সুন্দর করে তুলতে পারে।
এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বক ফর্সা করার ক্ষেত্রে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় সেগুলোর মধ্যে বেশির
ভাগ পদ্ধতি অনুসরণ করার বিষয়টি অনেক দীর্ঘকালীন হয়ে যায়। যার ফলে বেশিরভাগ মানুষ যারা ফর্সা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখে তারা এ
ধরনের দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া ফলো করতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। তাই তাদের জন্য আমরা
এখন আলোচনার এই অংশে এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে
চলুন আর অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলে সরাসরি মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
-
একদিনের ত্বক ফর্সা করতে কাঁচা দুধ এবং মধুর মিশ্রণে তৈরিকৃত ফেসপ্যাক মুখে
লাগিয়ে কিছুক্ষণ ভালভাবে ম্যাসাজ করুন এবং ম্যাসাজ করার পর এই উপাদানগুলো আপনার ত্বকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত এভাবেই রেখে
দিন। এরপর ৩০ মিনিট পূর্ণ হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক
ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়টি নিয়মিত ফলো করলে আপনার ত্বক দ্রুত
কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। -
এক দিনে ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে উপায়টি বর্ণনা করা প্রয়োজন সেটা
হলো ত্বকে কফি পাউডার এবং গুঁড়ো দুধের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা ফেসপ্যাক
ব্যবহার করা। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করার পর ন্যূনতম ২০ মিনিট
পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং তারপর নরমাল পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে
নিতে হবে। -
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কিংবা ত্বককে ফর্সা করতে অ্যালোভেরা জেল এবং
ভিটামিন “ই” ক্যাপসুল অধিক কার্যকরী ২টি উপাদান। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে
যাওয়ার পূর্বে অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন “ই” একসঙ্গে মিশিয়ে আপনার ত্বকে
লাগিয়ে নিয়ে ঘুমাতে যান এবং পরের দিন সকালে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে
ধুয়ে ফলেন তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক কিভাবে এক দিনের মধ্যে অনেক উজ্জ্বল,
দাগহীন এবং মসৃন হয়ে উঠেছে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি উপরে উল্লেখিত এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহ
যথাযথভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার চেহারাকে এক দিনের মধ্যেই
অনেকাংশে উজ্জল এবং ফর্সা করে তুলতে পারবেন। এবার আমরা আমাদের আলোচনার
পরবর্তী অংশে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহ নিয়ে আলোচনা করব। তাই
মনোযোগ না হারিয়ে পোস্টটি পড়তে থাকুন।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
চেহারা কিংবা শরীরের যে কোন অংশের ত্বককে ফর্সা করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ
এবং কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করার থেকে প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে ত্বক
ফর্সা করা অত্যন্ত নিরাপদ। সেজন্য আমরা এখন প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আর এই উপায় গুলো হলো নিম্নরুপঃ
ত্বকে টমেটো এবং মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা
নিয়মিত ত্বকে টমেটো এবং মধুর ফেসপ্যাক ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সান বার্ন বা
রোদে পোড়া ভাব দূর হয়। সেইসঙ্গে ত্বকের অতিরিক্ত কালচে ভাব দূর হয় এবং ত্বক
হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়। সেজন্য আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায় এর মাধ্যমে ফর্সা হতে
চান তাহলে এই উপায়টি ফলো করতে পারেন।
পাকা কলা এবং দুধ ব্যবহার করা
পাকা কলা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে এতে দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানানোর পর এই
পেস্টটি আপনার ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে
ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। ত্বক ফর্সা করতে পাকা কলা এবং দুধের
ব্যবহার করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি উপায়।
ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া
দ্রুত ত্বক ফর্সা করতে প্রতিদিন অন্তত ২ বার ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন।
ডাবের পানি মুখের যেকোনো কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জল এবং আকর্ষণীয় করে
তুলতে সক্ষম।
চন্দনের গুঁড়া এবং দুধ ব্যবহার করা
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে যে উপায়টির কথা উল্লেখ না করলেই নয়
সেটা হলো ত্বকে চন্দনের গুঁড়া এবং দুধের মিশ্রণে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করা।
এক্ষেত্রে আপনাকে চন্দনের গুঁড়া এবং দুধ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশে নিতে হবে। তারপর
প্রতিদিন অন্তত একবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
আপনি যদি নিয়মিত এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই অনুভব করতে
পারবেন আপনার ত্বক কতটা দ্রুত ফর্সা এবং সুন্দর হয় উঠছে।
কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করা
ত্বক ঝকঝকে ফর্সা করতে এবং ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে কমলা লেবুর খোসা রোদে
শুকিয়ে ভালোভাবে গুড়া করে নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য
কমলালেবুর খোসার গুড়ার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ টকদই মিশিয়ে নিলে আরো ভালো ভালো
পাওয়া যায়।
বেসন এবং লেবুর রস ব্যবহার করা
চেহারা সহ শরীরের যে কোন অংশের কালো দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করে তুলতে বেসন এবং
লেবুর রস দিয়ে তৈরি করা ফেসপ্যাক এর অবদান অনস্বীকার্য। সুতরাং, আপনি
যদি আপনার ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই এই ফেসপ্যাকটি
আপনার ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন সেটা
হলো, এই ফেসপ্যাক আপনাকে সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করতে হবে
তবেই আপনি আপনার আশানুরূপ ফলাফল পাবেন।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করার জন্য প্রয়োজন এমন কতগুলো খাবার খাওয়া যেগুলো
ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে পারে। কেননা যেহেতু এখানে বাহ্যিক দিক
থেকে ত্বককে সুন্দর বা ফর্সা না করে সম্পূর্ণ ভেতর থেকে ত্বককে ফর্সা করার কথা
বলা হচ্ছে। তাই এই কাজটি শুধু কিছু উল্লেখযোগ্য খাদ্য উপাদান খাওয়ার মাধ্যমেই
সম্ভব। আর ভেতর থেকে ত্বককে ফর্সা করার ক্ষেত্রে এ ধরনের খাদ্য উপাদান গুলো হলোঃ
-
মিষ্টি আলু, পালংশাক, করোলা, ব্রকলি, টমেটো ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাওয়া। ত্বককে ভেতর থেকে
ফর্সা করতে এই খাদ্য উপাদান গুলো এজন্যই কার্যকরী কারণ এই খাদ্য উপাদান গুলোর
মধ্যে “লাইকোপিন” নামক এক ধরনের “অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট” উপাদান রয়েছে
যা ত্বকের রঙ ফর্সা করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। -
দুধ, টক দই, চিজ সহ বিভিন্ন ধরনের ডেইরি প্রোডাক্ট
নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া সম্ভব। -
বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি
খাওয়ার মাধ্যমে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করা যায়। -
ভিটামিন “সি’ এবং ভিটামিন “ই” সমৃদ্ধ শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ার মাধ্যমে ত্বককে
ভেতর থেকে ফর্সা করা যায়। এই ধরনের খাদ্য উপাদান গুলোর উদাহরণ
হলো- কমলালেবু, লেবু, জাম্বুরা,
কিউই ফল, আখরোট, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর
বীজ, সয়াবিন ইত্যাদি। -
পাকা পেঁপে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হয়ে ওঠে। কেননা পাকা পেঁপের মধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “এ”। যা ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে
উজ্জ্বল করে তুলতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখে। -
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো
প্রতিদিন হালকা গরম দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান করা।
এক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান করার সময় এর স্বাদ
যদি আপনার কাছে কিছুটা তিক্ত মনে হয় তাহলে আপনি এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান
করতে পারবেন। - অথবা আপনি চাইলে সরাসরি দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পান না
করে দুধ গরম করার সময় দুধের মধ্যে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ মিশিয়ে দুধ
ফুটিয়ে নিয়ে দুধের রঙ যখন হলুদ হয়ে যাবে তখন এটা চুলা থেকে নামিয়ে
কিছুটা ঠান্ডা করে পান করতে পারেন। এই পদ্ধতিটি নিয়মিত অনুসরণ করার ফলে আপনি
নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন যে, আপনার ত্বক ভেতর থেকে কতটা ফর্সা এবং উজ্জ্বল
হয়ে উঠেছে।
ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম
আপনাদের মধ্যে অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি নাইট ক্রিম
ব্যবহার করার মাধ্যমেও ত্বক ফর্সা করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাই তাদের উদ্দেশ্যে
আমরা এখন কয়েকটি ভালো ব্র্যান্ডের ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম এর নাম নিম্নে
উল্লেখ করব। এই নাইট ক্রিম গুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার ত্বকের ধরন,
বয়স, নাইট ক্রিমের উপাদান এবং নাইট ক্রিমের মূল্যের উপর ভিত্তি করে যেকোন
একটি ক্রিম বাজার থেকে কিনে ব্যাবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় – চিকন হওয়ার ঔষধ
তবে আপনার ত্বকে যদি কোন ধরনের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই এই
ধরনের ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম গুলো ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। না হলে
ত্বকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ত্বক ফর্সা করার নাইট ক্রিম গুলো
হলো নিম্নরূপঃ
- হিমালয় রিভিটালিজিং নাইট ক্রিম ( Himalaya Revitalizing Night Cream)
-
পন্ডস গ্লোড র্যাডিয়েন্স ইউথফুল নাইট ক্রিম (Ponds Gold Radiance Youthful
Night Repair Cream) -
ল্যাকমি ইউথ ইনফিনিটি স্কিন স্কাল্পটিং নাইট ক্রিম (Lakme Youth Infinity Skin
Sculpting Night Cream) - লোটাস হারবাল নিউট্রানাইট নাইট ক্রিম (Lotus Herbals Nutranite Night Cream)
-
ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট অল ইন ওয়ান ফেয়ারনেস নাইট ক্রিম (Olay Natural White All
in one fairness Night Cream) -
পন্ডস এজ মিরাকেল রিংকেল কারেক্টর নাইট ক্রিম (Ponds age miracle wrinkle
corrector night cream) -
ল’রিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট নাইট ক্রিম (Loreal Paris White Perfect Night
Cream)
ফর্সা হওয়ার বডি লোশন
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কেবল চেহারা ফর্সা করাই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি
প্রয়োজন শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন- হাত, পা, ঘাড়, গলা ইত্যাদি অংশের কালচে
ভাব কিংবা কালো দাগ দূর করে ফর্সা করে তোলা। আর শরীরের এই অংশ গুলোকে ফর্সা
করে তুলতে আপনার প্রয়োজন হবে কতগুলো ফর্সা হওয়ার বডি লোশনের।আপনি এখন
ভাবতে পারেন কোন বডি লোশন আপনার শরীরকে ফর্সা করতে পারবে বা বাজারের কোন বডি
লোশনটি কেনা আপনার জন্য উচিত হবে?
যদি আপনার মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা এই
প্রশ্নের উত্তর আমরা নিম্নের অংশে উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ, নিম্নে আমরা কতগুলো ভালো
ব্র্যান্ডের শরীর ফর্সা করার বডি লোশনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই বডি লোশন
গুলো হলোঃ
- হোয়াইট স্পা লোশন (White Spa Lotion)
- নিভিয়া বডি লোশন (Nivea Body Lotion)
- ডিউ বডি লোশন (Deo Body Lotion)
- কৃস্টাল হোয়াইট মিলকি বডি লোশন (Crystal White Milky Body Lotion)
- গৌরি বডি লোশন (Gouri Body Lotion) ইত্যাদি।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
রূপচর্চায় কিভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া যায় কিংবা স্থায়ী ফর্সা হওয়ার
উপায় গুলো কি কি এই ধরনের সাধারণ প্রশ্ন প্রতিটি নারী-পুরুষের মনেই প্রতিনিয়ত
জাগ্রত হয়। তাই তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার
উপায় গুলো সন্ধান করে থাকেন তাহলে এর জন্য আপনাকে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উভয়
ধরনের ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে যেমন বিভিন্ন
ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান বাহ্যিক ভাবে ত্বকের উপর লাগিয়ে নিয়মিত রূপচর্চা করতে
হবে ঠিক তেমন ভাবেই ত্বককে ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য নিয়মিত
পুষ্টিকর এবং ত্বক ফর্সা করতে সক্ষম এমন ধরনের খাদ্য উপাদান খেতে হবে।
এইরকম খাদ্য উপাদান এবং ত্বকের উপর বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার যোগ্য বিভিন্ন ধরনের
কার্যকারী উপাদান সমূহ সম্পর্কে আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করে এসেছি। সুতরাং,
আপনি যদি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের আলোচনার
উপরের অংশ গুলো খুব ভালোভাবে পড়ে নিন।
এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় – ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আমাদের এই পোস্টে এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়, ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়, ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম, ফর্সা হওয়ার বডি লোশন এবং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাবলী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন এবং এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আপনি যদি পরবর্তীতেও এই রকম নতুন নতুন তথ্য সম্বলিত পোস্ট করতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।