|

ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয় – ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন

আমাদের নিত্যদিনে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন অনেক সময় দেখা যায় কোন
কিছু খাওয়ার সময় ঢোক গিলতে গলায় ব্যথা অনুভূতি হয়। আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে
থাকেন তবে অবশ্যই এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বেঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা
কেন হয় – ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন। তাহলে চলুন এই পর্বের মাধ্যমে ঢোক
গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয় – ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন

ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয় - ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন

নিত্যদিন আমাদের কোন না কোন সমস্যায় পড়তেই হয়। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে
আমাদের গলা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। গলা ব্যাথার কারণে অনেক কিছু খাওয়ার সময়
ব্যথা অনুভব হয়। আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই
পর্বের ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয় – ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয় – ঢোক গিলতে সমস্যা হয়
কেন জানুন

ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন হয়

আপনি যদি কোন কিছু খাবার সময় বা ঢক গেলার সময় ব্যথা অনুভব করেন তবে এই পর্বটি
আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ঢোক গিলতে গলায় ব্যাথা কেন
হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সময় গলায় ব্যথা কেন হয়। গলা ব্যাথার মূল
কারণ সংক্রমনের ফলে সৃষ্টি প্রদাহ। নরম টালু খাদ্যনালের উপরের অংশ বিভিন্ন
জীবাণু সংক্রমণে কারণে হতে পারে। ধুমপান, ধুলাবালি জ্বালানোর ধোঁয়া দীর্ঘকালের
সাইনাসের সমস্যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এসব নানাবিধির কারণে গলা
ব্যাথার কারণ হতে পারে।
তাছাড়া গরমের ভাইরাসও অ্যালার্জির আক্রমণেও গলা ব্যাথা
হয়ে থাকে। এমনকি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে অনেকের গলায় খুসখুসে ভাব হয় যা গলা
ব্যাথার অন্যতম কারণ। তবে অবশ্যই গলা ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে হলে ধূমপান দূষিত
বাতাস থেকে দূরে থাকতে হবে। ধূমপান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গলা ব্যথার কারণ
হতে পারে।

ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন জানুন

আপনার কি ঢোক গেলার সময় সমস্যা হয়? আপনার যদি ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে তবে
এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে ঢোক গিলতে সমস্যা হয়
কেন জানুন। টনসিলের গাউনে অনেক সময় ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে। টন ছিল আমাদের
শরীরের জন্য একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। টনসিলের কারণে খাবার খেতে অসুবিধা হয়।
ঢোক গিলতে পারা যায় না এমনকি গলা ব্যথার কারণে কথা বলাও সমস্যা হয়ে
যায়। গরমের ভাইরাসও অ্যালার্জির আক্রমণেও গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। এমনকি
শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে অনেকের গলায় খুসখুসে ভাব হয় যা গলা ব্যাথার অন্যতম
কারণ। আপনার যদি গলা ব্যথার সাথে জ্বর থাকে তবে টনসিলের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা
বেশি থাকে। আর এই টনসিলের কারণে মূলত ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে। টনসিল যদি
আপনার বড় হয়ে যায় তবে ঢোক গেলার সাথে সাথে কথা বলতেও অনেক সমস্যা সম্মুখীন
হতে হয়।

ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় কি

অনেকের ঠান্ডা লাগার কারণে গলায় ব্যথা হয়। আপনারও যদি ঠান্ডা জনিত কারণে গলা
ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে
নেওয়া যায় ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয় কি।
  • আদাঃ গলা ব্যথা দূর করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া উপায় হল আদা।
    আদা গলা ব্যথা থেকে আপনাকে মুক্ত দিতে পারে। আদার আন্টি ইনফ্লামেটরে এবং
    আন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। গরম
    পানির সাথে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত ফোটাতে হবে। দিনে
    কমপক্ষে ২-৩ বার এই পানি পান করুন দেখবেন গলা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • গরম পানির গার্গলঃ গলা ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম হলো
    গরম পানি দিয়ে দিনের কয়েকবার গার্গল করা। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক
    চা চামচ লবণ নিয়ে সেটি ভালোভাবে মিশ্রণ করতে হবে। এরপরে পাঁচ ছয়বার এই
    পানি দিয়ে গার্গল করতে হবে। এই প্রক্রিয়া আপনাকে গলা ব্যথা থেকে দ্রুত
    মুক্তি দিতে পারবে।
  • লেবুর রসঃ লেবুর রসের মাধ্যমেও আপনি গলা ব্যথা দূর করতে পারবেন।
    শরীর থেকে টক্সিন দূর করার জন্য লেবুর রস অনেক উপকারী বা কার্যকারী। ঠান্ডা
    জনিত কারণে গলা ব্যথা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু
    ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। দিনে দুই তিনবার পান করলে গলা ব্যথা ও
    টনসিলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • হলুদঃ হলুদের মাধ্যমেও ঠান্ডা জনিত গলা ব্যথা দূর করা সম্ভব। এক
    গ্লাস গরম পানিতে অল্প করে হলুদের গোড়া মিশিয়ে নিতে হবে। এরপরে সকালে ঘুম
    থেকে ওঠার পরে খালি পেটে পান করতে হবে। তবে এভাবে যদি আপনার খেতে সমস্যা
    হয় তাহলে আপনি দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।

গলায় কিছু আটকে থাকা মনে হওয়ার কারন

অনেক সময় দেখা যায় এমন কিছু খাবার পর মনে হয় গলায় কিছু আটকে রয়েছে। আবার
হঠাৎ করেই অতিরিক্ত গলায় খুব জমে থাকার কারণে মনে হয় গলায় কোন খাবার আটকে
রয়ে গেছে। আপনার যদি এমন অনুভূতি হয়ে থাকে তবে এই পর্বট আপনার জন্য। এই
পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক গলায় কিছু আটকে থাকা মনে হওয়ার কারন।
পাকস্থলী খাবার ও এসিড যদি শরীরের উপর দি ক ষড়যন্ত্র ও গলার মধ্যে উঠে আসে তখন
গলার স্বর বসে থাকে বা বিরক্তি কর কাশি বারবার হয়। একে রিফ্লাক্স বলে থাকে।
যাদের রিফ্লাক্স থাকে তাদের মধ্যে সবার বুক জ্বালা বা হজমের অসুবিধা হয়ে থাকে।
আবার কোন কোন সময় যে সবার হয় তাও নয়। এর কারণ হচ্ছে যে পর্দা গুলো রিফ্লেক্স
হয় তারা খাদ্যনালীতে বেশিক্ষণ থাকে না এবং পাকিস্তানের এসিড ও খাদ্যনাদের
প্রদাহ করতে পারে না এজন্য বুক জ্বালা উপসর্গ হয় না। এইজন্য গলার মধ্যে মনে
হয় কিছু একটি বেঁধে রয়েছে বা আটকে রয়েছে। একে গ্লোবাস ফেরেনোজিস বলে।

ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম জেনে নেই

আপনি যদি গলা ব্যথার কারণে অনেক সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য।
এই পর্বের মাধ্যমে চলুন ঢোক গিলতে গলা ব্যাথার ওষুধ নাম সম্পর্কে জেনে নেই।
অনেক সময় দেখা যায় ঢোক গিলতে গিয়ে আমাদের গলায় ব্যাথার অনুভূতি হয় কিন্তু
এর ওষুধ সম্পর্কে আমাদের সকলের অজানা। নিম্নে গলা ব্যাথার ওষুধের নাম দেওয়া
হলঃ
আপনার যদি গলা ব্যথা বেশি হয়ে থাকে তবে একমাত্র ওষুধ খাওয়া দরকার। আর অবশ্যই
ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে
গলা ব্যাথার ওষুধ খেতে চান তবে নেপচুন ফার্মাসিটিক্যালস কর্তৃক উৎপাদিত
(Sualex) ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এই ওষুধ দুইটা ট্যাবলেট এক কাপ কুসুম
পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার পান করুন। এভাবে দশ দিন
নিয়মিত পান করলে আপনার গলা ব্যথা ভালো হয়ে যাবে। যদি আপনার শুধু গলা ব্যথা
করে তবে রোলাক ( Rolac) ট্যাবলেটটি খেতে পারেন।

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ গুলো কি

আপনার যদি গলা ব্যাথা তীব্র হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে।
আপনি যদি দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে চান তাহলে নিম্নের এই ওষুধগুলো সেবন করতে
পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ গুলো কি।
  1. নেপচুন ফার্মাসিটিক্যালস কর্তৃক উৎপাদিত (Sualex)
  2. শুধু গলা ব্যথা করে তবে রোলাক ( Rolac) ট্যাবলেটটি খেতে পারেন
  3. আপনার যদি জ্বরের কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে তবে নাপা (Napa)
    প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধটি সেবন করতে পারেন।

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত জানুন 

আপনার যদি গলা ব্যাথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায়ে গলা ব্যথা সারতে
পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ করে গলা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এই গলা ব্যথার
কারণে কোন কিছু খাওয়া তো দূরের কথা ঠিকমতো কথা বলাও যায় না। আপনি যদি গলা
ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত জানতে চান তাহলে পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
  1. রসুনঃ রসুনের রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য।
    রসুন এ আরো রয়েছে  অ্যালিসিন নামক একটি অর্গান সালফার যৌগ। যা
    সংক্রমণ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত রসুন খান তবে সর্দি
    কাশিসহ বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন এমনকি গলা ব্যথা দূর হয়ে
    যাবে।
  2. আদাঃ গলা ব্যথা দূর করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া উপায় হল আদা।
    আদা গলা ব্যথা থেকে আপনাকে মুক্ত দিতে পারে। আদার আন্টি ইনফ্লামেটরে এবং
    আন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। গরম
    পানির সাথে কয়েক টুকরো আদা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মত ফোটাতে হবে। দিনে
    কমপক্ষে ২-৩ বার এই পানি পান করুন দেখবেন গলা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  3. গরম পানির গার্গলঃ গলা ব্যাথার প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম হলো
    গরম পানি দিয়ে দিনের কয়েকবার গার্গল করা। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক
    চা চামচ লবণ নিয়ে সেটি ভালোভাবে মিশ্রণ করতে হবে। এরপরে পাঁচ ছয়বার এই
    পানি দিয়ে গার্গল করতে হবে। এই প্রক্রিয়া আপনাকে গলা ব্যথা থেকে দ্রুত
    মুক্তি দিতে পারবে।
  4. লেবুর রসঃ লেবুর রসের মাধ্যমেও আপনি গলা ব্যথা দূর করতে পারবেন।
    শরীর থেকে টক্সিন দূর করার জন্য লেবুর রস অনেক উপকারী বা কার্যকারী। ঠান্ডা
    জনিত কারণে গলা ব্যথা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু
    ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিতে হবে। দিনে দুই তিনবার পান করলে গলা ব্যথা ও
    টনসিলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয় লোক গুলোকে গলা ব্যথা কেন হয়
এবং ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন এর সমাধান পেয়েছেন। এই পর্বটি সম্পর্কে আপনার
যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি
ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।