নফল রোজার নিয়ত – নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

আমাদের প্রত্যেকের নফল রোজার নিয়ত – নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয় সম্পর্কে
জানা উচিত। কেননা আমরা মুসলিম। প্রত্যেক মুসলমানের নফল রোজার নিয়ত – নফল
রোজার নিয়ত কখন করতে হয় জানা প্রয়োজন। আপনি যদি নফল রোজার নিয়ত এবং নফল রোজার
নিয়ত কখন করতে হয় না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের
মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক নফল রোজার নিয়ত – নফল রোজার নিয়ত কখন করতে
হয়।

নফল রোজার নিয়ত - নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

আমাদের মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই নফল রোজা রাখা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু আমাদের
মধ্যে অনেকেই জানেনা নফল রোজার নিয়ত সম্পর্কে। আপনি বলুন নফল রোজা করার জন্য
নিয়ত করতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক নফল
রোজার নিয়ত – নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নফল রোজার নিয়ত – নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

নফল রোজার নিয়ত

নফল রোজা পালনের জন্য সাধারণত কোন নির্দিষ্ট আকারের নিয়ত নেই। নিয়ত কথাটার
অর্থ হচ্ছে ইচ্ছে পোষণ করা। আপনি মনে মনে নফল রোজা রাখার জন্য ইচ্ছে পোষণ করে
নফল রোজা পালন করলে নিয়ত হয়ে যাবে। নফল রোজা হলো মূলত আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য, ফরজ-, ওয়াজিব নয়, এমন রোজা পালনকেই
নফল রোজা বলে। 
প্রথমত নির্ধারিত নফল রোজাঃ এগুলো নবী করিম কর্তৃক পালনকৃত, এই প্রকার রোজা
সুন্নাত।
দ্বিতীয় অনির্ধারিত নফল রোজাঃ এগুলো মুস্তাহাব।নফল রোজা পালন অবস্থায় যদি কোন ব্যক্তি অতিথি আপ্যায়ন করাতে হয় বা আপ্যায়ন
গ্রহণ করতে হয়, তবে নফল রোজা ছেড়ে দেওয়া জায়েজ হবে এবং পরবর্তীতে এই রোজার
কাজা আদায় করা ওয়াজিব হবে। এতে তিনগুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। প্রথমতঃ নফল
রোজা রাখার সওয়াব, দ্বিতীয়তঃ মেহমানদের সম্মান রক্ষার সওয়াব এবং তৃতীয়তঃ
নফল রোজা ভাঙ্গার পরিবর্তে ওয়াজিব কাজা রোজা আদায় করার সওয়াব।

নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

আপনি যদি নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয় না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক নফল রোজার নিয়ত কখন করতে
হয়। রমজান মাসের রোজা ও অন্যান্য রোজার নিয়ত এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য
রয়েছে। রমজান মাসের ফরজ রোজার নিয়ত মধ্য দিবসের পূর্ব পর্যন্ত তথা দুপুর ১২
টার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে করা হয়। অন্যান্য রোজা যেমন নফল রোজার নিয়ত
রাত থেকে করা শর্ত নয়, বরং দিনের যে কোন সময়ে কেউ যদি নিয়ত করে সূর্যাস্ত
পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করে সেটা জায়েজ হবে। তবে শর্ত হচ্ছে ফজর শুরু হওয়ার পর
থেকে রোজা ভঙ্গকারী কোন কিছুতে লিপ্ত না হওয়া আর সুনির্দিষ্ট নফল রোজার
নিয়ত রাত থেকে(ফজরের পূর্ব) করা।
শর্তকরা শর্তসুবহে সাদিক এর আগে তথা
সেহেরির সময়ের মধ্যেই বা তার আগেই করতে হয়। কারণ রমজান মাসের ফরজ রোজার সময়
নির্ধারিত এবং বাধ্যতামূলক। কিন্তু নফল রোজা নির্ধারিত কোন সময় নেই। এগুলো
রমজান মাসের রোজার মতো বাধ্যতামূলক অপরিহার্য খরচ কর্তব্য নয় এগুলো নফল
ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।

নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া জেনে নিন

যেহেতু আমরা মুসলিম সেহেতু আমাদের নফল রোজা কিভাবে রাখতে হয় এবং ইফতারের
দোয়া সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী। তাই এই পর্বের মাধ্যমে নফল রোজার নিয়ত
ও ইফতারের দোয়া জেনে নিন। অনেকেই অনেক নফল ইবাদত করে থাকে তার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য আরেকটি নফল ইবাদত হলো সিয়াম পালন করা বা রোজা রাখা। আমাদের
মধ্যে অনেকেই নফল রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান, প্রকৃতপক্ষে নিয়তের অর্থই
হচ্ছে পোষণ করা অর্থাৎ আপনি সিয়াম পালনের জন্য ইচ্ছে পোষণ করেছেন এটাই হচ্ছে
নিয়ত আলাদাভাবে কোন নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।
নফল রোজার নিয়তঃ নফল রোজার নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই। আপনি চাইলে
বাংলায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় নফল রোজার জন্য নিয়ত করতে পারেন।
নফল রোজার ইফতারের দোয়াঃ আল্লাহুম্মা সুমুত লাকা ওয়া
তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া
রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি।

নফল রোজার নিষিদ্ধ কোন দিন

নফল রোজা রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট দিন রয়েছে যেগুলো বাদে প্রত্যেকদিনই নফল
রোজা রাখা যাবে। তবেই কিছু নির্দিষ্ট দিনগুলোতে নফল রোজা রাখা উচিত নয় বা
রাখা যাবে না। তাহলে চলুন এই পর্বের মাধ্যমে নফল রোজার নিষিদ্ধ কোন দিন
জেনে নি। হযরত আবু হুরাইয়া(রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কোরবানির ঈদের
দিন ও রোজার ঈদের দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম)। হযরত নুবাইশা
হুজালি(রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন; আইয়ামে তশরিক( জিলহজ্ব
মাসের ৯ থেকে ১৩ তারিখ )হল খাওয়া, পান করা ও আল্লাহ স্মরণ করার জন্য(
মুসলিম)। জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফাতে অবস্থানকারীরা রোজা রাখবেন না; অন্যরা
রোজা রাখতে পারবেন।
বছরে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষেধ তথা নাজায়েজ বা হারাম।
যথাঃ রোজার ঈদের দিন,কোরবানির ঈদের দিন, এবং তৎপরবর্তী তিনদিন
।রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেন ;’তোমরা এই দিবসগুলোতে রোজা রাখবেনা।কারণ,এই দিনগুলো
শুধুই পান, আহার ও খেল -তামাশার( আনন্দ ফুর্তি উপভোগের) জন্য।

নফল রোজার নিয়ত আরবিতে জেনে নিন

কোন কিছু করার জন্য নিয়ত করা মানে সেই কাজের প্রতি ইচ্ছা পোষণ করা। আপনি এই
এর চেয়ে পোষণ আরবিতেও করতে পারেন আবার চাইলে বাংলাতেও করতে পারেন। এক কথায়
আপনি নফল রোজার নিয়ত করার জন্য আরবিতেও করতে পারবেন এবং বাংলাতেও করতে
পারবেন। তাহলে চলুন এই পর্বে নফল রোজার নিয়ত আরবিতে জেনে নিন। অনেকেই
অনেক নফল ইবাদত করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরেকটি নফল ইবাদত হলো সিয়াম
পালন করা বা রোজা রাখা। আমাদের মধ্যে অনেকেই নফল রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানতে
চান, প্রকৃতপক্ষে নিয়তের অর্থই হচ্ছে পোষণ করা অর্থাৎ আপনি সিয়াম পালনের
জন্য ইচ্ছে পোষণ করেছেন এটাই হচ্ছে নিয়ত আলাদাভাবে কোন নিয়ত করার প্রয়োজন
নেই। তবে এই ইছেপোষণ আপনি আরবিতেও করতে পারেন।

নফল রোজার সেহেরির সঠিক সময় জানুন

আপনি যদি নফল রোজার সেহরি খাওয়ার সময় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি
আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে নফল রোজার সেহেরির সঠিক সময় জানুন। ফরজ রোজা
হোক বা নফল রোজা রেখে খাওয়ার একটি সময় রয়েছে। রমজান মাসে ফরজ রোজা পালনের
জন্য যেমন আমরা ভোর এ উঠে ফজর আযানের পূর্ব মুহূর্তে সেহরি খায় ঠিক একইভাবে
নফল রোজার ক্ষেত্রেও শেষ রাতে ফজর আজানের পূর্বে সেহেরি খেলতে হবে। সেহরি
খাওয়ার সময় সূচি নফল রোজা বা ফরজ রোজা কোন আলাদা নেই। আপনি যে রোজায় রাখেন
না কেন প্রত্যেক রোজা সেহেরি খাওয়ার নিয়ম এক।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই নফল রোজা কখন করতে হয় নফল রোজার
সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনি ধারণা পেয়েছেন। নফল রোজা সম্পর্কে আপনার যদি কোন
মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি ভালো
লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।