ফজর নামাজের ফজিলত – পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত

আপনি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজলুত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত
সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত। বর্তমানে গোটা
বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ মুসলমান নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তারা আল্লাহর আদেশ ভুলে
গিয়ে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসারে লিপ্ত। তাদের অন্তর থেকে খোদাভীতি উঠে গেছে।
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনের বাণীতে রয়েছেঃ কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
প্রত্যক্ষভাবে ৮২ বার ও পরোক্ষভাবে ৩০০ বারের ও বেশি নামাজের ব্যাপারে
তাগিদ দিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ লাবিবা নামের অর্থ কি – লাবিবা নামের ইসলামিক অর্থ কি

নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস পাকের বাণীঃ হযরত আবু হুরায়রা
(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন রাসুল পাক ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং
এক জুম্মা থেকে অপর জুম্মা এক রমজান শরীফ থেকে অপর রমজানের মধ্যখানে যত ছোট
গুনাহ হবে সব কাফফারা তথা মুছে যাবে। রাসুলে কারিম ইরশাদ করেছেন জেনে রাখো
তোমাদের জন্য সর্বোত্তম কাজ হল নামাজ। আশা করি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত
সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

আপনি কি ফজর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বের মাধ্যমে
জেনে নিন ফজর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত।প্রতিটি মুসলিমের সর্বপ্রথম
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঈমান। এর পরেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। ঈমানের পর নামাজের
প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্য এশা ও ফজরের
জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। উবায় ইবনে কাব (রা. ) থেকে বর্ণিত একবার মহানবী (সাঃ) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরে জিজ্ঞেস
করেছেন অমুক কি আছে? লোকেরা বলল নেই। তিনি বললেন এই দুই নামাজ এশা ও ফজর
মোনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন।

আরো পড়ুনঃ নবী (সাঃ) কতবার হজ্জ করেছেন

তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কি পরিমাণ
সওয়াব নিহিত রয়েছে তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে। এক হাদীসে এসেছে যে
ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল সে যেন সারারাত দাঁড়িয়ে নামাজ
পড়লো।(মুসলিম হাদিস ৬৫৬)। ফজর নামাজের ফজিলত বলে শেষ করার মত নয়। আশা করি
জানতে পেরেছেন ফজর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে।

আপনি কি জানেন যোহর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে? যদি না জেনে থাকেন তবে এই
পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যোহর নামাজের
ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যোহর নামাজের
ফজিলত সম্পর্কে। নামাজ হলো ইসলামের মৌলিক ইবাদত। নামাজের মাধ্যমে বান্দা
আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে এই উম্মতের জন্য সবচেয়ে
বড় দান দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্বপূর্ণ
নামাজ হলো জোহরের নামাজ।

আরো পড়ুনঃ হযরত ওমর রাঃ এর শাসন আমল – হযরত ওমর রাঃ এর মৃত্যু

এমনকি হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর ইমামতিতে রাসূল (সা.)
সর্বপ্রথম যে নামাজ আদায় করেছেন তা হলো জোহরের নামাজ। হাদিসের বর্ণনায় এই
নামাজের কষ্টের বিবরণ রয়েছে। যেহেতু এই নামাজের কষ্টের সম্পর্ক রয়েছে সুতরাং
তা আদায়ের নেকির পরিমাণ আল্লাহ বহু গুণের বৃদ্ধি করে দেবেন। জোহরের ফরজ
নামাজের পাশাপাশি যোহরের সুন্নত নামাজের ও যথেষ্ট গুরুত্ব ফজিলত রয়েছে।

আসর নামাজের ফজিলত

আপনি কি জানেন আসর নামাজের ফজিলত কতটুকু? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বের
মাধ্যমে জেনে নিন আসর নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আসর
নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত
হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে এসে থাকেন।
একদল দিনে একদল রাতে। আসর ও ফজরের সালাত উভয় দল একত্র হয়। অতএব পর তোমাদের
রাতযাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন আল্লাহতালা তাদের জিজ্ঞাসা করেন আমার বান্দাদের
কোন অবস্থায় রেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন। উত্তরে
তারা বলে আমরা আপনার বান্দাদের সালাতে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনো
তারা সালাত আদায় রত অবস্থায় ছিল। বুখারি হাদিস(৫৫৫)। তোমাদের কেউ যদি
সূর্যাস্তের আগে আসরের নামাজ এক সিজদা পাই, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়।
আর যদি সূর্যোদয়ের আগে ফজরের সালাতের এক সিজদা পায় তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ
করে নেয়।

আপনি যদি মাগরিব নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাগরিব নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মাগরিব নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত। বর্ণিত আয়াত ও হাদিস থেকে সকাল সন্ধ্যার এবাদত এর বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত এর বিষয়টি প্রতিয়মান হয়। এমনকি উল্লেখিত হাদিস থেকে বোঝা যায় মাগরিবের নামাজ অতি বরকত ময়। মাগরিবের ফরজ নামাজের পর সুন্নত নামাজের কথা হাদিসে বিদ্যমান রয়েছে। এমনকি এর ফজিলত অপরিসিম। যে ব্যক্তি গুরুত্বের সঙ্গে মাগরিবের পরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়।(তিরমিজি হাদিস,৬৩৬২)। অতএব বুঝতেই পারছেন মাগরিবের নামাজের ফজিলত কতটুকু।

আপনি নিশ্চয়ই এশার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এশার নামাজের ফজিলত
সম্পর্কে। জেনে নেওয়া যাক এশার নামাজের ফজিলত কতটুকু। এশা ও ফজরের নামাজের
জামাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্য এই দুই সময়ে মানুষ সাধারণত পরিবারের সঙ্গে
সময় কাটায় ও বিশ্রাম করে। ফলে এই দুই ওয়াক্তের জামাতে শরিক হতে যথেষ্ট
অবহেলা ও গাফিলতি হয়ে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার
নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোন নামাজ নেই। এই দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানতো
তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত। তিনি আরো বলেছেন যে
ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত
(নফল) নামাজ আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।মুসলিম
হাদিস ঃ১৩৭৭।

ফজর নামাজের ফজিলত – পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত এর শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বা জেনে উপকৃত
হয়েছেন ফজর নামাজের ফজিলত – পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে। এই
পর্বটি সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে
জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের
মাঝে শেয়ার করবেন। এই ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন
ধন্যবাদ।